গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় নিজের চাচা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
ইমরান আকন্দ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ ওরফে গটুর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে ভুক্তভোগী বাড়ী থেকে বের হয়। পরের দিন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পাড়ে নির্জন ঝোপ থেকে ভুক্তভোগীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্ত করা হয়। পরে ৯ জানুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামি ইমরান আকন্দকে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামে আসামির শশুড় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগী সম্পর্কে তার ভাতিজা। ইমরান প্রায় ৩ বছর যাবত ভুক্তভোগীকে বলাৎকার করে আসছিল। বলাৎকারের বিষয়ে ভুক্তভোগী অন্যদেরকে বলে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। এ কারণে ইমরান তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগীকে তার বসতবাড়ীর পাশে কলার ক্ষেতে ডেকে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ইমরান। ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সেদিন রাতেই লাশ বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন ঝোপের ভেতর ফেলে আসে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh