ঝালকাঠিতে ভোজ্য তেল ও সিমেন্টসহ কার্গো ডুবি

ঝালকাঠি গাবখান চ্যানেলে জাহাজের ধাক্কায় ভোজ্য তেল ও সিমেন্টসহ মালবাহী একটি কার্গো ডুবে গেছে। কার্গোটিতে থাকা ৪ শ্রমিকই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলা সদরের কেওড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গল এলাকার গাবখান চ্যানেলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

কার্গোটি থাকা শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে সাড়ে ৯ হাজার বস্তা সিমেন্ট ও বিভিন্ন ভোজ্য তেল নিয়ে বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট এলাকায় যাত্রা করে নূর মদিনা নামের একটি কার্গো। এসময় বিপরীত দিকে যাত্রা করা মারিয়া রহমান-৩ নামের অপর একটি জাহাজের সাথে পাশাপাশি ধাক্কা লাগে নূর মদিনা নামের কার্গোটির। এতে কার্গোটির তলা ফেটে গাবখান নদীতে মালামালসহ ডুবে যায়। এসময় কার্গোটিতে থাকা চালকসহ ৪ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠেতে সক্ষম হয়।

কার্গোতে থাকা শ্রমিকরা অভিযোগ করেছে, সঠিক সাইড ধরে কার্গোটি বাগেরহাটের মোল্লারহাটে যাওয়ার জন্য গাবখান চ্যানেল অতিক্রম করছিল। কিন্তু বিপরীত দিকের জাহাজটি কোন সাইড না দিয়েই কার্গোটির পাশে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী রেজোয়ান জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সারেঙ্গল বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদীতে বিকট শব্দ হয়। দৌড়ে তীরে এসে দেখি দুটি জাহাজ সংঘর্ষে আটকে গেছে। একটি থেকে অপরটি আলাদা হচ্ছিল না। কাউখালীর দিক থেকে আসা খালি কার্গো মারিয়া রহমান-৩ এবং সুগন্ধা নদীর মোহনা থেকে সিমেন্ট বোঝাই নূর-এ মদিনার সংঘর্ষে তলা ফেটে যায়। কিছুক্ষণ সংযুক্ত (আটকা) থাকা অবস্থার পরে সিমেন্ট বোঝাই নূর-এ মদিনা আস্তে আস্তে পানি ঢুকে তলিয়ে যেতে থাকে। ৭০ লাখ টাকা মূল্যের সিমেন্ট বোঝাই অবস্থায় সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হলে আটকা অবস্থা থেকে ছুটে যায় খালি কার্গো মারিয়া রহমান-৩। নদীতে ভাসতে ভাসতে গাবখান ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে নোঙর করে সেটি। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ খালি কার্গোটিকে আটক করে।

সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খালি কার্গো মারিয়া রহমানকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব অফিসার মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানায়, দুর্ঘটনার স্থানে চ্যানেলটিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে কার্গোটির ৪ শ্রমিককেই।