কুষ্টিয়ায় মেধার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ইবির ভিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেছেন, বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে মেধার শিক্ষা সহায়তামূলক কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কেননা বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা প্রকৃত অর্থে মেধাবী, কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মত আর্থিক সংগতি তাদের নেই। ওই সকল শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করা, তাদেরকে লেখাপড়ায় উৎসাহিত করা এবং আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করা সমাজের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের একটি নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যক্তি বিশেষ উপকৃত হয় তা নয়- বরং সমাজ-জাতি ও দেশ উপকৃত হয়। যেটি আপনারা নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মতো করে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আপনাদের এই মেধার সহযোগিতা পেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা অনেক বড় হয়ে আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করছে।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিবেদিত কুষ্টিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেধার কার্যক্রমের ২৫তম বর্ষপূর্তি (রজতজয়ন্তী) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, ইতিহাসে কবি নজরুল-ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত এমন আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে, যারা দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তাদের প্রতিভার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে অনেক অবদান রেখেছেন।

আপনাদের নিঃস্বার্থ-কল্যাণমূলক কাজের ফলশ্রুতিতে সহায়তাপ্রাপ্ত মেধাবীরা আগামী দিনে সমাজের নিকট প্রতিভাবান বিকশিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপহার স্বরূপ হয়ে উঠবে, এই প্রত্যাশা করি। আমি আরো আশা করি মেধার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আরো অনেকে এরূপ কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবেন।

মেধার সভাপতি ইন্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক, মেধারসহ সভাপতি শাহ নেওয়াজ আনসারী মঞ্জু, মাহবুব আলম রতন, সদস্য এসএম কাদেরী শাকিল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেধার সদস্য সচিব শামীম আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় চারজন গুণীজনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়৷ পাশাপাশি রজতজয়ন্তী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেধার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 

এরআগে মেধার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।