শেরপুর বারের নির্বাচনে আ.লীগ-বিএনপির সমঝোতা

পদ নিয়ে সমঝোতার মধ্য দিয়ে শেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৩ পদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ প্রার্থী এবং বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত প্যানেলের সভাপতিসহ ৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সমিতির ২নং ভবন মিলনায়তনে ওই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড়।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে এমকে মুরাদুজ্জামান (বিএনপি), সহ-সভাপতি পদে হরিদাস সাহা (আওয়ামী লীগ) ও আশরাফুল আলম লিচু (বিএনপি), সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আবুল মানসুর স্বপন (আওয়ামী লীগ), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোক্তারুজ্জামান মুক্তার (বিএনপি) ও মোহাম্মদ আকরামুজ্জামান (আওয়ামী লীগ), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. আশরাফুজ্জামান আশরাফ (আওয়ামী লীগ), সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. রেজুয়ান উল্লাহ (বিএনপি), অডিটর পদে রেকামুল ইসলাম সাজু (আওয়ামী লীগ) এবং সদস্য পদে আসিফ জামান ও মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান (বিএনপি), আব্দুল্লাহ আল-কায়সার মারুফ ও লক্ষ্মী রানী সরকার (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে বার সমিতির ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের একাংশ বিবদমান অপর অংশকে বাইরে রেখে বিএনপি ও সমমনা সমর্থিত আইনজীবীদের সাথে পদ ভাগাভাগি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা শেরপুরে আলোচিত হচ্ছে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে নানা অঘটন এবং বিশেষ প্রভাবে নির্বাচন কমিশনের দফায় দফায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পরিবর্তন এবং নেতা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় আইনজীবীদের বৃহৎ অংশের মাঝেই চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের একাংশ বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপি ও সমমনাদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছে সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অন্যদিকে সমঝোতার সূত্রে বিএনপি ও সমমনারা সভাপতিসহ ১১ পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একইদিন আওয়ামী লীগের বিবদমান অপর অংশ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে বিবদমান অংশে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিবদমান অংশের সভাপতি এবং ২য় দফায় নির্বাচন কমিশন প্রত্যাহারের সময় বাড়ানোর কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। একইদিন গভীর রাত পর্যন্ত শহরের একটি ল’ চেম্বারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে অন্যান্য পদে সমঝোতার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী ও বিএনপির ৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে অন্যদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিতদের মধ্যে লক্ষ্মী রানী সরকার আওয়ামী লীগের অপর অংশের প্রার্থী ছিলেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //