চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসার ২ শিক্ষককে বরখাস্ত

চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জালসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার দুজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুইজন শিক্ষক স্বাক্ষর করে পত্র দুটি গ্রহণ করেছেন বলে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জান্নাত আলী জানিয়েছেন।  

এদের মধ্যে কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধি ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবারে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করে।

সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে কামিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধি ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে এসে বিধিমোতাবেক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিরোধিতা করে অধ্যক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মো. আবুল হাশেম ও প্রভাষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) মো. মাসুদুর রহমান প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা প্রতিবাদী দুজন  শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়া সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধি ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের স্বাক্ষর জাল করে উচ্চতর বেতনের আবেদন করার বিষয় প্রমাণিত হয়। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষককে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন দ্বিতীয় দফায় পাঠানো শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি নোটিশের কোনো জবাব দেননি। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভায় ওই দুজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কারা হয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //