মুন্সীগঞ্জে বোর্ড কারখানায় আগুন

আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুই জাহাজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুন এখনো নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন। অপরদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হু হু করে আগুন জ্বলছে সুপার বোর্ড ফ্যাক্টরি। নদীর তীরঘেঁষা ফ্যাক্টরিটির আগুনের লেলিহান শিখা প্রভাব ফেলছে নদীতেও। আগুন থেকে রক্ষায় অনেক উপকরণ মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়, সেখানেও আগুন জ্বলে। ফ্যাক্টরির পাশে থাকা পাটখড়ি বোঝাই বিশাল ট্রলারেও আগুনের শিখা দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের সঙ্গে নদী থেকে দুটি জাহাজও ফ্যাক্টরির আগুন নেভাতে যোগ দেয়। টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পরে বৃষ্টি শুরু হলে আগুন কিছুটা নিযন্ত্রণে আসে। তবে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।

কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কাঠের গুড়া ও পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি সুপার বোর্ডের বড় বড় স্তূপ থাকায় আগুন দীর্ঘস্থায়ী হবে।

এদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (এডিএম) প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এই কমিটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্যাক্টরির মাঝামাঝি স্থানে দুপুর ১টার দিকে আগুন লাগে। এরপরই কর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করেন। একসময় ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পরে। আগুনের মধ্যেও পানি ছড়িয়ে দিয়ে ছোট ছোট ক্রেন যুক্ত গাড়িতে করে কিছু মালামাল সরানোর চেষ্টা করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশে রপ্তানিসহ দেশব্যাপী ব্যাপক চাহিদার এই সুপার বোর্ড কারখানাটিতে ক্ষতি কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //