রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়ার এলাকায় সরকারের দেওয়া কেওড়াজোড়ায় রয়েছে গরিবদের জন্য বরাদ্দ মোট ১২টি ঘর। এখানে ১২টি পরিবার থাকার কথা থাকলেও বসবাস করছেন মাত্র ৯টি পরিবার। কারণ হিসেবে তারা বলছেন তাদের অন্যত্র থাকার ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি রয়েছে। যার কারণে তিনটি পরিবার সেখানে থাকেন না। এসব পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে মঞ্জু নামের ব্যক্তির রয়েছে একটি ঘর। মঞ্জু ঘর থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে ম্যানেজ করে স্থানীয় রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মাছ চাষি আলাউদ্দিন মাস্টার দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে তার পুকুরে পানি সরবরাহ কাজে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০০ মিটার দূরে পুকুরে বিদ্যুতের ড্রপ তার ব্যবহার করে পরিত্যক্ত মঞ্জুর ঘরের মিটার থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুকুরে পানি সেচ দিচ্ছেন এবং আনুষঙ্গিক কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। আর এমন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের।
এক সময়ের ওই পুকুরের পাহারাদার স্থানীয়র আব্দুল খালেক নামের ব্যক্তি তিনি বলেন, ওই ঘর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুকুরে পানির সেচ কাজ ও লাইট জ্বালান আলাউদ্দিন।
এসব বিষয়ে গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত একাধিক ব্যক্তি বলেন, মন্জুর কাছ থেকে আলাউদ্দিন মাস্টার বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে পুকুরে লাইন নিয়ে গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আলাউদ্দিন মাস্টার বলেন, এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এক মিটার রিডার আহসানুল করিম বলেন, আপনাদের বক্তব্য দিতে হলে আমার উপরমহল থেকে অনুমতি নিতে হবে, তাছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে ওই লাইনটি কেটে দেওয়া হবে। উনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh