মহাপরিচালকের পদত্যাগ দাবিতে বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ

সাভারের আশুলিয়ায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গণকবাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

সরকারিভাবে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রাজস্ব খাতে ১০৩ জন ও আউটসোর্সিংয়ে ২৪ জন কর্মচারি কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে অন্তত ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভে যোগ দেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ১৯ আগস্ট পেনশন পদ্ধতি চালু, নতুন পদ সৃষ্টি, পদোন্নতি বৈষম্য, কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে অন্তর্ভুক্ত ও আউট সোর্সিং কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এরপর ২০ আগস্ট তারা মহাপরিচালকের কাছে এসব দাবিসহ একটি স্মারকলিপি দিয়ে দাবি পূরণে সরকারের আশ্বাস চেয়ে মহাপরিচালককে পাঁচ দিন সময় বেঁধে দেন তারা। তবে এরপরও দাবি মানার বিষয়ে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় রবিবার থেকে মহাপরিচালকের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা। আজ সকাল থেকে নানা দাবি সংবলিত স্লোগান দেন ও ১০টি পয়েন্ট তুলে ধরে প্রচারপত্র বিলি করেন।

এ প্রচারপত্রে দাবি করা হয়, সরকারি বিধান লঙ্ঘন করে মাত্র এক বছর সাত মাসের অভিজ্ঞতা থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তিনি বায়োটেকনোলজির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর নজিরবিহীনভাবে গত ৯ বছর অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। নিজের পছন্দ অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, নিয়োগে অনিয়ম, অনিয়ম করে গবেষণা বিভাগ চালু করে গবেষক নিয়োগ, গবেষণা বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য, পেনশন চালুতে ব্যর্থতা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ। 

এছাড়া তিনি কার্যালয়ে অনিয়মিতভাবে উপস্থিত হন বলেও অভিযোগ করা হয় ওই প্রচারপত্রে।

আন্দোলনরত এক কর্মকর্তা বলেন, গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে নানা অনিয়মের মাধ্যমে একচ্ছত্রভাবে অকার্যকর করে তুলেছেন এই মহাপরিচালক। এসবের কারণে তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছি। মহাপরিচালক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ বলেন, এনআইবিতে এই মুহূর্তে আমাদের পেনশন নাই। কিছু পদোন্নতি বাদ রয়েছে। নতুন পদ পাওয়া যাচ্ছে না। কল্যাণ তহবিলে অন্তর্ভুক্ত করা, আউটসোর্সিংদের চাকরি স্থায়ী করাসহ বেশ কিছু দাবিতে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ আন্দোলন করছিল। ওরা আমাকে এসব দাবি মানতে পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। এরপর আজ তারা আমার পদত্যাগ চাচ্ছেন। আমি মিনিস্ট্রিতে আছি। জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে কথা বলবো। তারা যেটা ভালো মনে করেন তাই করা হবে। তারা যদি মনে করেন পরিবর্তন প্রয়োজন। করবেন। আমি সেই বিষয়ে কথা বলবো। দাবি পূরণ না হওয়ায় যেহেতু তারা আমাকে ব্যর্থ বলছেন, সেটা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh