বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩

লক্ষ্মীপুরে সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোর রাতে পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকার গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের  বটুমিয়ার ছেলে সুমন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে ইউসুফ (৪৫) ও হৃদয় হোসেন (২৩)। নিহত তিনজনই সিএনজির চালক ছিলেন।

এ সময় সুমন, রকি, ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ গ্যাস পাম্পে ২০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আলআমিন ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোররাতে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে। এসময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি করে। এসময় ঘটনাস্থলে সিএনজির তিন চালক মারা যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহত সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ১০জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রণজিৎ কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে তিনজন মারা যান।

বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।