টেকনাফে ২ কৃষকসহ নিখোঁজ ৩

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও দুই কৃষককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে চার দিন আগে অপহৃত এক যুবককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে ৩ জন ব্যক্তি অপহরণের শিকার হয়েছেন। এখনো তাদের একজনেরও খোঁজ মিলেনি। টেকনাফের পাহাড়ে গত এক বছরে ১৩২ জন অপহরণের তথ্য রয়েছে। 

গতকাল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া পাড়ার পাহাড় সংলগ্ন জমিতে কৃষি কাজ করার সময় ওই দুইজনকে অপহরণ করা হয়। বুধবার রাত ১১ টা পর্যন্ত তাদের খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। 

অপহৃতরা হলেন- কম্বনিয়া পাড়ার নুরু ইসলামের ছেলে মো. আবছার (২৮) এবং পূর্ব মহেশখালিয়া পাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আলম (২৩)।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, কম্বনিয়া পাড়ার পাহাড়ের পাশে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় ওই দুই কৃষককে অপহরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণ দাবি করে কেউ ফোনও করেনি। তবে পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের।

বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এর আগে শনিবার রাতে টেকনাফের বাহারছড়া থেকে অপহৃত বেলাল উদ্দিনকে (৩২) এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বেলাল উদ্দিন বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালি এলাকার আলী আহমদের ছেলে।

বেলালের স্বজনরা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। তবে তাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য মতে, এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ১৩২ জন অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫৪ রোহিঙ্গা নাগরিক।অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৭ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শোনার পর অপহৃতদের উদ্ধারে পাহাড়ি এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh