কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের চল্লিশপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ অংশে পদ্মা নদীর চর সংলগ্ন এলাকায় শূন্যরেখা বরাবর বাংলাদেশি ভূখণ্ড পরিদর্শন করেছেন বিজিবির কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদীন।
সীমান্ত পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে যৌথ সার্ভে এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উদ্ধার করা এবং বিজিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা এই বিপুল পরিমাণ ভূখণ্ড পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় সেক্টর কমান্ডার জানান, শিগগিরই ওই এলাকায় চূড়ান্তভাবে সীমান্ত পিলার স্থাপন করা হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৪৭ বিজিবি) কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক জানান, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন শূন্যরেখা বরাবর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা যৌথ সার্ভে এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উদ্ধার করা ও বিজিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা বিপুল পরিমাণ ভূখণ্ড পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার। তিনি এ সময়ে শূন্যরেখায় উপস্থিত স্থানীয় ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের চরভদ্রা কোম্পানি কমান্ডারসহ বিএসএফের একটি টহল দলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ আরও জানান, সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সেক্টর কমান্ডার উদ্ধার করা বাংলাদেশি ভূখণ্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উদ্ধারকৃত এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ওই এলাকায় অস্থায়ী পিলারের অবস্থান ও মার্কিং সঠিক রয়েছে এবং বিজিবি টহল দল নিয়মিত রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিজিবির এ ধরনের পদক্ষেপে স্থানীয় লোকজন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং সাধারণ মানুষ ওই এলাকায় অবাধে চলাচল করতে পারছে। বিদ্যমান আন্তর্জাতিক প্রোটোকল অনুযায়ী উভয় দেশের উপযুক্ত প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ওই এলাকায় চূড়ান্তভাবে সীমান্ত পিলার স্থাপন কার্যক্রম শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি এবং বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওই জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সাক্ষাতে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চল্লিশপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস এলাকায় উভয় দেশের সার্ভেয়ার এবং বিজিবি-বিএসএফ সীমানা পরিমাপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের জমি ভারতের অভ্যন্তরে আনুমানিক প্রায় ২০০ একর এবং ভারতের জমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৪০ একর বিদ্যমান রয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh