স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে চার কিশোরকে টানা চারঘণ্টা স্কুল মাঠে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চার কিশোরের হাতের বাঁধন খুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিয়া তানজিন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নে পূর্ববাগধা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
চার কিশোর হলেন- পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার পূর্ব সাতলা গ্রামের মনির হোসেন সন্যামতের ছেলে তরিকুল সন্যামত (১৭), একই গ্রামের স্বপন বালীর ছেলে মোহাম্মাদুল বালী (১৬), শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ইয়ামিন হাওলাদার (১৫) ও আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মাদ মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপজেলার পূর্ব বাগধা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী দুপুরে বিরতির সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাগধা মাদ্রাসার সামনে তার পথরোধ করে অশ্লীলভাষায় উত্যক্ত করেন ৪ কিশোর।
তখন বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কান্নাকাটি করে ওই ছাত্রী। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী লাভলু ভাট্টির বাড়িতে গিয়ে জাননয় ছাত্রীর সহপাঠিরা। সেখান থেকে খবর পেয়ে স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে চার কিশোরকে ধরে স্কুল মাঠে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রোদের মধ্যে বসিয়ে রাখেন।
পরে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ওই স্কুলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন। তিনি চার কিশোরকে হাতের বাঁধন খুলে মুক্ত করেন। পরে কিশোররা ক্ষমা চাইলে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম মিয়া ও টিটল বিশ্বাসের জিম্মায় চার জনকেই ছেড়ে দেন তিনি।
পূর্ব বাগধা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, আমার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাড়ি ফেরার পথে চারজন কিশোর উত্যক্ত করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ওই চারজনকে স্কুল মাঠে বেঁধে রাখে। আমি বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানালে তিনি এসে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, চার কিশোর ও তাদের অভিভাবকরা ভুল স্বীকার করে অঙ্গিকার করেছেন। ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অপরাধ আর করবে না। এ জন্য মুচলেকা রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh