কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কৃষকদল নেতা জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একজন প্রধান শিক্ষককে গালমন্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত কৃষকদল নেতা। তিনি উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা। তিনি কালীগঞ্জ সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

লিখিত অভিযোগে প্রধান শিক্ষক উল্লেখ করেছেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে যান। এ সময় আনোয়ার হোসেন নামে একজন অভিভাবক তার ছেলেকে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে কথা বলে চলে যান। ভর্তির বিষয় ও প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দুপুর ১২টার দিকে অফিসের নিচে নামলে জালাল ও জাহিদসহ ৫/৬ জন ভর্তির বিষয়ে জানতে চান। আমি তাদের বলি ভর্তির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তখন তারা উত্তেজিত স্বরে আমাকে গালমন্দ করেন এবং বলেন, ‘আজকের মধ্যে ভর্তি করে না নিলে, তুই কি করে স্কুলে আসিস দেখে নেব। কাল থেকে স্কুলে তালা ঝুলবে।’

এদিকে গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েও গালমন্দ করার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সামনে ওই ছাত্রের অভিভাবক, জালাল ও জাহিদসহ ৩/৪ জন ভর্তি করানোর জন্য বলেন। তখন ইউএনও স্যার আমাকে বলেন- ‘আইনগতভাবে যেটা হয়, সেটা করবেন।’ তখন তারা ইউএনও স্যারের সামনে আমাকে বলেন, ‘স্যার ভর্তিটা করিয়ে নেন, তা নাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ 

এরপর ইউএনওর অফিস থেকে বের হয়ে আসার পর ৫০/৬০ জনের সামনে তাকে গালমন্দ করেন জালাল ও জাহিদ নামে দুজন। তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি স্কুলে ভর্তি করতে কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না। এমন অভিযোগ একদমই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

অভিযুক্ত কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক জালাল উদ্দিন প্রথমে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বললে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ভর্তির বিষয়ে এক অভিভাবকের কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছেন। সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম, এছাড়া আর কিছু না।’ তিনি প্রধান শিক্ষককে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে যেভাবে স্কুল চালিয়েছেন সেভাবে আর চালানো যাবে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh