চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় জড়িত থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ ইটভাটার মালিকের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে জরিমানার অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বংস করে লাইসেন্স ছাড়া অনেক ইটভাটার কার্যক্রম চলমান থাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মানবাধিকার এবং পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করে। আদালত ওই রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।
আদালতের এই আদেশ কার্যকর করতে গেলে ইটভাটা মালিকগণ অন্য একটি রিট দায়ের করলে আদালত স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করে রুল দেয়। ইটভাটা মালিকদের রিটে এইচআরপিবি পক্ষভুক্ত হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত ওই রুল খারিজ করে দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকেরা আপিল দায়ের করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ৪ জুন রায় দেয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে ইটভাটা মালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়।
পরে ইটভাটার মালিকরা আরেকটি রিট করলে আদালত আবার স্থিতবস্থার আদেশ দেয়। পরে স্থিতাবস্থার আদেশ ছয়মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
বিষয়টি জানার পর এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে আদালতকে জানান, কতিপয় ইটভাটা মালিকেরা একই বিষয়ের ওপরে বারবার রিট দায়ের করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করছে।
তিনি আদালতকে আরও বলেন, কতিপয় ইটভাটা মালিক ইতোপূর্বে আদালতের আদেশ জালিয়াতি করেছে এবং এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে।
এরপর ইটভাটা মালিক আদালত মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কবির, শামীমা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, এনামুল হক, নাসির উল আলম, মোহাম্মদ ইসলাম, বিপ্লব কান্তি, আব্দুল কাদরসহ ৫৪ জনের প্রত্যেককে চার লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh