
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভাঙচুর, লুটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
গত বুধবার (১৭ জুলাই) শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরে থাকা প্রায় ৬৪ লাখ টাকার ২৭ মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু হলের দ্বিতীয় তলায় ২৩০ নং (ছাত্রলীগ নেতা বাবু) কক্ষে ঢুকে তাকে না পেয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের ২২৮নং কক্ষে ঢুকে ভাংচুর করে প্রায় নব্বই হাজার টাকার ক্ষতি। ছাত্রলীগ নেতার না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১ থেকে ২৩৩ নং পর্যন্ত কক্ষ ভাঙচুর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সনদপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং বেশকিছু নগদ টাকা ও ল্যাপটপ চুরি করে। এরপর আমাকে (বাদী কাইয়ুম মিয়া) যেখানেই পাবে সেখানেই প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি প্রদর্শন করে।
দায়েরকৃত মামলার আসামির তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল আহমেদ তপু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মাহাদী হাসান মারুফ, সমাজকর্ম বিভাগের মেহেদী সজিব, দর্শন বিভাগের আশিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শাহ পরান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দেওয়ান বাঁধন ও সিরামিকস বিভাগের তানভীর আহম্মেদ রিদম রয়েছেন।
এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের মনিমুল হক, একই বিভাগের আল মুহি ফেরদৌস, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, রসায়ন বিভাগের শাহরিয়ার পলাশ, ফার্মেসি বিভাগের মো. আনারুলকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ছাড়াও মামলার আসামি করা হয়েছে নগরীর মির্জাপুর এলাকার মো. নাঈম ও মো. হাসিবুল, বুধপাড়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আশিকুর রহমান তুহিন এবং কাজলার শাহরিয়ার আহমেদ প্রমুখ।
বাদী কাইয়ুম মিয়া বলেন, ক্ষয় ক্ষতি ও ভাংচুরের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। এটা পরে দেখা যাবে।
তবে মামলার অভিযুক্তদের বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্ত ২০ জনের কাউকেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।