সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রাথমিক শিক্ষকদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে সমাবেশ করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা। 

সমাবেশ থেকে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। এই সময়ে মধ্যে দাবি মেনে না নিলে তারা সমাপনী ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ স্কুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘোষাণা দেন।

শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত ‘মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি। তাদের ঢাবির দোয়েল চত্বরের সামনে সমাবেশ করার জন্য এক ঘণ্টা সময় দেয়া হয়।

১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিক্ষক নেতারা বলছেন, তারা প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করবেন। এরপরও দাবি পূরণ না হলে তারা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবেন।

আন্দোলনকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন তাদের এই নতুন কর্মসূচির কথা জানান। তিনি বলেন, দোয়েল চত্বরে তাদের সংগঠনের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন। তবে এই ঘোষণার পরেও অনেক শিক্ষক ওই এলাকায় এখনো বিক্ষিপ্তভাবে রয়ে গেছেন।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা ১৪তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান। আর প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। কিছুদিন আগে তারা বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও পালন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন এক হয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করছেন।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //