পরীক্ষা ছাড়াই একাদশের শিক্ষার্থীরা ‘অটোপাসে’ দ্বাদশে

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনার ক্ষতি পোষাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিষয় সংখ্যা কমিয়ে এইচএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার কথা বলেছেন।

এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া হলেও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কলেজগুলো। একদিকে যেমন একাদশের সেশনের সময় চলে গেছে তেমনি আবার আগামী বছর এপ্রিলে তাদের এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত আছে।

তাই লেখাপড়ার গতি অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণিতে ‘অটোপাস’ দিচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোথাও কোথাও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয়েছে, আবার কোথাও উত্তীর্ণের প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, করোনার এই সময়ে সব প্রতিষ্ঠানেই শ্রেণিকাজ বন্ধ আছে। বন্ধ আছে পরীক্ষা। তবে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেকর্ড কলেজে আছে। সেটার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ দেখাতে পারে। এতে বোর্ডের আপত্তি থাকবে না।

সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে নটর ডেম কলেজের একাদশ শ্রেণি থেকে সবাইকে পরীক্ষা ছাড়া দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে চলতি জুলাই মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি’র ৯ হাজার ৪০০ টাকাসহ চলতি জুলাই মাস ও আগামী আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের ৭ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধের জন্য বৃহস্পতিবার নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেখানে করোনাকালে টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে নিষেধ করেছে; সেখানে এভাবে নোটিশ দিয়ে ফি পরিশোধ করতে বলার কোনো মানেই হয় না। অভিভাবকরা আশা করছেন- কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে। 

এ বিষয়ে জানতে নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিয়াস রোজারিও সিএসসিকে কল দিলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, দেশ সেরা আরেক প্রতিষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ভিত্তিতে দ্বাদশে পদোন্নতি দিয়েছ শিক্ষার্থীদের।

কলেজের সিনিয়র প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজহারুল আলম জানান, মার্চের শেষে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিলো। সেটা সম্ভব না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরের স্তরে উত্তীর্ণ করার চিন্তা চলছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলাপ করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

রাজধানীর শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রহমান বলেন, দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হলে অনলাইন ক্লাস শুরু করা সম্ভব। না হলে তারা লেখাপড়ার বাইরে থাকবে। তাই উত্তীর্ণ দেখানো উচিত। আমরা উত্তীর্ণ দেখিয়েই অনলাইন ক্লাস শুরু করেছি। যুগান্তর

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //