উচ্চতর গ্রেড ১০ বছর হিসেবে দিতে হবে: বাশিস

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড বিএড থেকে হিসেব না করে চাকরিতে যোগদানের সময় থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর হিসেবে প্রদান করতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামেের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাশিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন- বিএড স্কেল কোন উচ্চতর গ্রেড নয়, এটি শিক্ষকদের একাডেমিক যোগ্যতা পরিমাপকাঠি।কেউ বিএড নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করে, আবার কেউ পরেও বিএড করে। এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে- চাকরিতে যোগদানের ৫ বছরের মধ্যে বিএড করতে হবে।

বেসরকারি শিক্ষকগণ অনেক সময় চাকরিতে যোগদানের ৫-১০ বছর পরেও এমপিওভুক্ত হয় বিভিন্ন জটিলতায়। সব মিলিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শেষ নেই।

ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রালয় থেকে বেসরকারি শিক্ষকদেরকে ১০বছরে একটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের পরিপত্র জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে শিক্ষক স্বার্থ পরিপন্থী ও অস্পষ্ট কতিপয় নির্দেশনা রয়েছে। এতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষকগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। উচচতর গ্রেড প্রদানে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ক্ষুন্ন হচ্ছে শিক্ষাবান্ধব সরকারের।

অন্যদিকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিক/অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষগণ চাকরিতে যোগদানের ১০ বছরের মধ্যেই উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন। কাজেই বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক তথা যোগদান থেকে ১০ বছরে ১টি উচ্চ তর গ্রেড প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।

করোনার ভয়াবহ এ দুঃসময়ে গৃহবন্দি শিক্ষক সমাজ চরম অর্থ সংকটে। এ সময়ে শিক্ষকদেরকে ন্যায্য পাওনা দিতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ বর্তমানে ৭ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন কিন্তু সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এক্ষেত্রেও বেতন বৈষম্য।বেসরকারি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষগণ সবাই ১০ বছরে ১টি এবং পরবর্তীতে ৬বছরে আরো একটি উচ্চতর গ্রেড পাবে। সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ পান না। কাজেই ১৬ বছরে ২য় উচ্চতর গ্রেড এর বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের মামলা এটি বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ঐ মামলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিজেদের স্বার্থে করেছেন। বেসরকারি শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিলসহ পদোন্নতি, অনার্স-মাস্টার্স কলেজ শিক্ষকদের অবিলম্বে এমপিওভুক্তি এবং আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই ২৫% এর পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ঈদবোনাস প্রদান এর ব্যবস্থা করাসহ মুজিববর্ষেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণা করতে জোর দাবী জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //