এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ

শিক্ষকদের এমপিও জটিলতা নিরসন

দীর্ঘ এক বছর পর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বন্দোবস্ত হয়েছে। 

যোগদানের দিন থেকে তাদের এমপিওভুক্ত সুবিধা দিতে রবিবার (২৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্রটিপূর্ণ চাহিদার ভিত্তিতে নিবন্ধনধারী যে সকল শিক্ষক এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো-২০১৮ অনুযায়ী শূন্যপদে যোগদান করে সংশ্লিষ্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান বহাল থাকবেন। বিধি ও যোগ্যতা মোতাবেক তারা এমপিওভুক্ত হবেন। নারী কোটার জটিলতা থেকে সৃষ্ট সমস্যার এ সমাধান শুধুমাত্র ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত এনটিআরসিএর মধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ও বিধি মোতাবেক যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কোনো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ভবিষ্যতে নারী কোটার নির্দিষ্ট হার পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র নারী প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য বলে আবশ্যিকভাবে উল্লেখ করে উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে এনটিআরসিএতে শিক্ষকদের চাহিদা প্রেরণ করবেন। ননএমপিও শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে যোগদানকৃত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী এসব শিক্ষক আগের কোনো বকেয়া সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের একাডেমিক সনদ, নিবন্ধন সার্টিফিকেট, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও এনটিআরসিএর সুপারিশ যথাযথ থাকলে এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে কর্মরত থাকলে তাদের এমপিওভুক্তি অনলাইনে আবেদনের দিন থেকে কার্যকর হবে। যথাযথ কর্মপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত এক বছরের বেশি সময় পরও এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না কয়েকশ নিবন্ধিত শিক্ষক। এনটিআরসিএ-এর দ্বিতীয় চক্রে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া আট শতাধিক প্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। তাদের হতাশার মূল কারণ হলো- ভুল তথ্য দেয়া শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ, মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন বহির্ভূত পদে নিয়োগ পাওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রার্থীদের মতে, শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় এমপিওভুক্ত এসব শিক্ষকের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। মহিলা কোটা ও নবসৃষ্ট পদের নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ায় প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। বর্তমানে এ সমস্যা সমাধান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //