পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কাজ করছে সরকার। শিক্ষা হবে আনন্দময়। জিপিএ-৫ এর উম্মাদনা নয়। জিপিএ-৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে খুলে দেয়া যায় তার জন্য একটি গাইডলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু করার উপযোগী করে তুলতে হবে। 

পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে- তা করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে সরকার কাজ করছে ও ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সফট স্কিল সম্পর্কে জানার উপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, লেখাপড়া করে ভালো চাকরি পাওয়াই যেন শিক্ষার্থীদের একমাত্র উদ্দেশ্য না হয়। দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতাবোধ, সততা ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতির ভিন্নতা সত্ত্বেও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে পারস্পরিক শান্তি ও সৌহার্দ্য পূর্ণভাবে বাস করার সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে।

ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পরীক্ষা নির্ভর সনদ সর্বস্ব শিক্ষা থেকে আমরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, করোনা পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেয়া যায় তার চেষ্টা করছি। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে নিতে বলা হয়েছে। ক্লাস রুমের সাথে অনলাইনে ক্লাস চলবে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেয়া হবে। ৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়া যাবে নাকি আরো পরে নেয়া হবে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম ও বাংলাদেশে ইউনেস্কো রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যান্ড হেড অব অফিস বিয়াট্রিস কালদুন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //