বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সুদীর্ঘ ১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরের ৬ শতাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
শিশু শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন স্বল্প বেতনে চাকরি করা এর শিক্ষকরা। বেতনহীন শিক্ষক পরিবারগুলোতে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে বাড়িভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় সর্বমোট ৬১০টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এতে শিক্ষকসংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৮০০ জন। জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় ক্রমান্বয়ে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জেলার প্রাথমিক শিক্ষার অভাব পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সকল কারিকুলাম তারা অনুসরণ করে থাকে। মূলত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায়কৃত বেতনের মাধ্যমে এসব কিন্টারগার্ডেনের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবন-জীবিকা চলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্ডারগার্টেনগুলো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতন আদায় থেকে বিরত রয়েছে।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যে জানা গেছে, চাঁদপুরে অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেনে ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও গড়ে ১৫০ থেকে আড়াইশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে।
কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষক নেতারা জানান, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে বড়ই বেকায়দায় পড়েতে হচ্ছে মালিক পক্ষকে। তাদের দাবি সরকারিভাবে তাদের যাতে সহায়তা করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh