‘পরীক্ষা না দিলে বিরাট ক্ষতি হবে না’
শিক্ষার্থীদের এক বছর পরীক্ষা না দিলে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুস্থতা এবং জীবন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারে কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি।’
এদিেক শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে শিক্ষামন্ত্রীও এক বছর ছুটিতে গেলে দেশের কী ক্ষতি হবে? তিনি বলেন, গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন করোনার চেয়ে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে জাতির জন্য শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কেনো নয়? আসলে ক্ষমতাসীনরা চাচ্ছে জাতিকে অশিক্ষিত রাখতে। করোনা মহামারীর মাঝেও বিভিন্ন দেশে কিভাবে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে তা অনুসরণের পরামর্শ দেন এ সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না, ভুল পথে যাবেন না। নিজেরা নিজেদের বাড়িতে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কাজ করুন, কোনো খারাপ কিছুতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলবেন না। ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরীক্ষা দিতে হবে কিনা সেটি পরের কথা। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা সুস্থ থাকুক। পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না।’
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন ১৩ জুন থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা আমাদের ছিল। সে বিষয়ের প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ২০টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। প্রায় ১০টি জেলার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন চলছে। এখন নতুন করে যে ভ্যারিয়েন্টগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে আমরা বাধ্য হয়েছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়াতে। এরপরও পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটার ওপর নজর রেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বাড়িতে যতটুকু সম্ভব তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাক। উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না, যাতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের যে ক্ষতিটা তা শিক্ষা ব্যবস্থার। সামগ্রিক বিশ্বে এই ক্ষতিটা হচ্ছে। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যাবে সেই ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হবার সতর্কতামুলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি চলছে। চলমান ছুটি কয়েক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরটি
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh