চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠদান করানো হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সব শ্রেণিতে পুরোদমে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিও ভিন্ন। শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন এ শিক্ষাক্রম চালু হবে ২০২৫ সালে। ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ নম্বরের সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।
একইভাবে মূল্যায়ন করা হবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকেও। তবে জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন করা হবে।
নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন তুলে দেওয়ার পর দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি বিষয় নির্ধারণ থাকবে। সেগুলো পড়বে সবাই। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে শিক্ষার্থীরা। অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যে বিভাজন হবে উচ্চমাধ্যমিক থেকে। উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে এ প্রক্রিয়া মেনে পাঠদান হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নতুন কারিকুলাম চূড়ান্ত করার পর পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী হচ্ছে বাস্তবায়ন। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রায় সব স্তরে পুরোদমে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। এর মাধ্যমে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় বড়োসড়ো পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : শিক্ষাক্রম প্রাথমিক স্তর মাধ্যমিক স্তর শ্রেণি
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh