আমাদের সিনেমাকালে এক ধরনের সংস্কৃতি চর্চা ছিল: মতিন রহমান

মতিন রহমান বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল পরিচালক। চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমানের সহকারী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায় সফলতা অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে ‘লাল কাজল’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

ছবিটি ব্যবসাসফল না হলেও সমালোচক মহলে প্রশংসিত হয়। মতিন রহমানের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি শখের অভিনেতা। বিভিন্ন সিনেমায় তিনি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অভিনয় শুরু করেন ৭০ দশকে। তিনি প্রথম আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অতিথি’ ছবিতে অভিনয় করেন একজন কাজির চরিত্রে।

তিনি গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবিরের স্থাপিত ঢাকা ফিল্ম ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী তিনি। চলচ্চিত্র বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে চলচ্চিত্র নিয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি এই পরিচালক চলচ্চিত্র নিয়ে বিশেষ গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তিনি ১৯৫২ সালে নওগাঁয় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। নওগাঁ শহর ও সান্তাহারে তিনি তার শৈশব কাটিয়েছেন। নওগাঁতেই গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং চলচ্চিত্রে স্থায়ী হন। পরিচালক আজিজুর রহমান তার বড় মামা। মতিন রহমান পারিবারিক জীবনে নাসিম খানমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই মেয়ে নওশীন ও নওরীন এবং এক ছেলে মৃত্তিক রহমান।

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কর্মে সফলতার মাল্য তিনি বেশ আগেই জড়িয়েছেন। এ সাক্ষাৎকারে তার সময়ের দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন, প্রেক্ষাগৃহ এবং পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক এহসান হায়দার।

আপনার ছেলেবেলার সময়কার ঈদস্মৃতি জানতে চাই...

আমার বেড়ে ওঠা বাংলার একটি শহরঘেঁষা গ্রামে। গ্রামটি মাঝখানে, দুইপাশে দুটি শহর। মধ্যবিত্ত পরিবার। গ্রামের বৃক্ষলতা, নদী জলে মানুষ হলেও আমাদের লেখাপড়া, আনন্দ-ফুর্তি, বিনোদন চর্চা শহরকেন্দ্রিক ছিল। এতে যুক্ত ছিল স্কুল-কলেজের বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষক, স্বজন। গ্রামের ঈদ উৎসব মাঠ-ময়দানে নামাজ পড়া। ঈদগাহের পাশে গ্রাম্য মেলায় মিঠাই-মণ্ডা যেমন কেনার আনন্দ ছিল, তেমনি মধ্যদুপুরে বিষণ্ন আলোতে ফসল কাটা মাঠে জমত হা-ডু-ডু, ফুটবল খেলা। সে গ্রাম যে গ্রামে লড়াইয়ের আনন্দ, 

অথবা হার জিতের উত্তেজনা। কখনো হট্টগোলে। ঈদের মাঝবেলা। অন্য আয়োজন। ছুটতে হবে শহরের পেক্ষাগৃহে চার আনা অথবা দশখানা টিকিটে সিনেমা দেখার লড়াই। কালোবাজারিতে টিকিট কেনা। শহরের বন্ধুদের নিয়ে হৈচৈ। সিনেমা দেখে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরা। বর্ষীয়ান পিতার কড়া শাসনে সব কিছুই যেন চুপসে যেত। তবু সেই গ্রামের বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ এবং শহরের বন্ধুদের নিয়ে হৈচৈদুই বিপরীতমুখী উৎসব মেজাজের স্মৃতির রেশ ঈদ আসলেই রঙিন ঘুড়ির মতো মুক্ত আকাশে দোল খায়। টাল খায়। মনকে তাড়িত করে।

আগে চলচ্চিত্র মুক্তি পেত ঈদকে সামনে রেখে, সেই সময়ের কথা জানতে চাই...

বাঙালি মুসলমানদের বছরে প্রধান দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। অবশ্য এছাড়া আরও দুটো উৎসব আনন্দ জাগরণে যুক্ত ছিল। একটি দুর্গামেলা উৎসব এবং অন্যটি মহরম উৎসব। আমার গ্রাম ছিল দুই ভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন জড়োয়া শাখায়। নওগাঁ শহরটা ছিল হিন্দু বনেদি মাড়োয়ারিদের সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র।

পূজা, নৌকাবাইচ, মেলা ইত্যাদি আমাদের শৈশব-কৈশোরের উৎসব স্মৃতি। অন্যদিকে সান্তাহার, বিহার অঞ্চলের আগত মানুষের উৎসব সংস্কৃতি, তাজিয়া মিছিল, তলোয়ার লড়াই, অগ্নিগোলক নিক্ষেপ। দুটি উৎসবেই নতুন সিনেমা আসত। নওগাঁয় ‘হরহর মহাদেব’ প্রদর্শন হলে, মহরমে সান্তাহারে হতো পাকিস্তানি উর্দু ছবি।

এছাড়া রোজার ঈদে সামাজিক, অথবা প্রেমের ছবি চলবে। কোরবানি ঈদে চলবে কিছু মারদাঙ্গা অ্যাকশন ছবি। যা আজও বাংলাদেশের ঈদ উৎসবে ছবি রিলিজের প্রচলিত ধারা। সিনেমা নির্মাতাদের আজও ধারণা ৩০ দিন সিয়াম পালনে দর্শক সামাজিক, কৌতুকপূর্ণ ছবি দেখতে বেশি পছন্দ করে। আমরাও সেটা বিশ্বাস করি, করতাম।

আগেকার দিনের চলচ্চিত্র ছিল সামাজিক গল্পনির্ভর, যা ছিল সাবলীল প্রাণবন্ত। পারিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে হলে বসে দেখার একটা বিশেষ আগ্রহ বোধ করত সবাই। এখনকার সময়ে তেমনটি হয় না- দর্শক হলমুখী নয়, এ বিষয়ে আপনার মত কী বিস্তারিতভাবে জানাবেন ...

‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’-এই গীত বাণী সর্বদাই স্মৃতিতাড়িত সুমধুর। এটাই সত্য। পূর্বে এটা হতো, সেটা হতো; কিন্তু সময়ের কাঁটার চলমান গতি অনেক কিছুই রদ-বদল ঘটায়। রুচি, আকাক্সক্ষা, অভ্যাস, আচরণ-সর্বক্ষেত্রেই আমরা বদলে যাচ্ছি। অথবা বদলে যেতে বাধ্য হচ্ছি। টেকনোলজি আমাদের জীবন, সংস্কৃতি, বিনোদন ও নিত্য অভ্যাসকে বদলে দিচ্ছে। অথচ গান গাইছি-আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। হলে বসে পরিবার নিয়ে ছবি দেখতাম-সত্য কথা; কিন্তু আমাদের সংসার জীবনে কি একান্নবর্তী পরিবার ধারণা আছে? নেই।

তাহলে এই যন্ত্রযুগে বসে পরিবার সংস্কৃতির কথা কেন উচ্চারণ করা হয়। প্রতিটি সংসারের মা-বোনেরা বিনোদনের নানা ক্ষেত্রে বিচরণ করছে। সোশ্যাল মিডিয়া তাদের মনোজগতে দখলি স্বত্ব নিয়েছে। কেউ রান্নার ভিডিও, ভিনদেশি সিরিয়াল, ওয়াজ নসিহত অথবা টিকটক দেখে বিনোদিত হচ্ছে, পুলকিত হচ্ছে। সমমনা মানুষের সঙ্গে গল্পে মেতে থাকছে সর্বক্ষণ। সেখানে সিনেমা দেখা, দল বেঁধে যাওয়ার প্রসঙ্গটা সামাজিক সমস্যাজারিত প্রশ্ন।

দর্শকদের হলমুখী হওয়ার কথা অনেক পরে আসবে। বিনোদন কি শুধু সিনেমা হলে আছে? মোটেও নয়। শপিংমলে এসিতে ঘোরা, গল্প করা, আড্ডা দেওয়া-যুব, কিশোর-কিশোরী অথবা যুবা-যুবতীর বিনোদনের শাখা পল্লবিত বিচরণভ‚মি। হলে কেন আসবে, কেন আসে না, কীভাবে দর্শক আসবেএসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। এই যুগ পরিবর্তনের সময় সংকট মুহূর্তে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চলচ্চিত্র যেখানে আরও এগিয়ে যাওয়ার কথা সেটা যেন আরও পেছনের দিকে যাচ্ছে, হল বন্ধ হচ্ছে, দেশি চলচ্চিত্রের জায়গায় বিদেশি চলচ্চিত্রের দিকে দর্শক বেশি ঝুঁকছে। এ জন্য আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তার পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব বলে মনে করেন?

সময় মানুষকে পথ চলার নির্দেশ দেয়। চলচ্চিত্রের ক্ষতি হচ্ছে, হল বন্ধ হচ্ছে-এসব প্রশ্নের উত্তর এক কথায় আমাদের কাছে নেই। সময়, প্রযুক্তি মানুষের মূল্যবোধ কেড়ে নিচ্ছে। প্রথাগত সংস্কৃতি চর্চার পথ রুদ্ধ করছে। মানবিকতাকে বিপন্ন করছে। যেখানে সিনেমা একটা অংশ মাত্র। ৪০-এর অধিক স্যাটেলাইট চ্যানেল, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মানুষকে তো বিনোদন দিচ্ছে। মানুষ তৃপ্ত হচ্ছে, দেশ দেখছে, বিদেশ দেখছে। দেখছেন তো পার্শ্ববর্তী দেশ কীভাবে সিনেমাকে টিকিয়ে রাখার লড়াই করছে। সেদিকেও আমাদের দৃষ্টিপাত করা আবশ্যক।

আপনার ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রগুলো যখন আপনি হলে মুক্তি দিতেন, তখন কীভাবে তা সম্পন্ন করতেন?

আমাদের সিনেমাকালে এক ধরনের সংস্কৃতি চর্চা ছিল। প্রযোজকরা খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। গল্প পছন্দ থেকে নির্মাণপর্ব অথবা বাজারজাতকরণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রাখতেন। যৌথচিন্তা অথবা সমচিন্তার পোষক ছিলেন তারা। শ্রেষ্ঠ কিছু চাই, প্রশংসিত হতে চাই, সুস্থ ধারা বাঁচিয়ে রাখতে চাই, অর্থ কোনো বিষয় নয়-এই ধারণার কারণে নির্মাতা প্রযোজকরা ছবি নির্মাণের পূর্বে জুৎসই পরিকল্পনা নিতেন। কদিনে কীভাবে কোন শ্রেষ্ঠ তারকা নিয়ে, কবে মুক্তি পাবে-নানা ছকবন্দি চিন্তা-চেতনায় চলচ্চিত্র নির্মাণে এগিয়ে আসতেন। এই কথাটি আমার নির্মাণ অভিজ্ঞতায় বলছি। প্রসঙ্গটি অন্যের জন্য আলাদা হতে পারে। তবে একটি টিমওয়ার্ক ছিল। আমার কাজ ছিল মনোযোগ দিয়ে নির্মাণ। প্রযোজকের কাজই ছিল শ্রেষ্ঠ উপায়ে বিপণন। শ্রেষ্ঠ প্রেক্ষাগৃহ, শ্রেষ্ঠ প্রচার ও দর্শকদের তৃপ্ত করার মতো সিনেমা নির্মাণের প্রয়োজনে পরিচালককে উৎসাহিত করা এবং সার্বিকভাবে সাহায্য করা।

আপনার মতে আমাদের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর কথা জানতে চাই...

দর্শকদের পছন্দে রাঙ্গাভাবী, অন্ধ বিশ্বাস, নারীর মন, তোমাকে চাই, রংনাম্বার, বিয়ের ফুল, মাটির ফুল-অধিকাংশ তরুণ-তরুণীদের মনোজগতের স্বপ্ন জিজ্ঞাসা নিয়ে নির্মিত। রাঙ্গাভাবী কিছুটা ব্যতিক্রম। সংসার, মা নামের এক মধুময়ী সত্তার সংসারে সংকট, বিরূপ আকাঙ্ক্ষার গল্প। একজন নির্মাতা এক ধরনের গল্প কথনে স্থির থাকে না। তার বিচরণ নানামুখী গল্প নির্বাচন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তেমনটি ছিল সবার মতো আমারও।

এখন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলচ্চিত্র বিষয়ে আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছে, আপনি নিজেও এই বিভাগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন চলচ্চিত্র বানানোর যে স্বপ্ন থাকে, একজন শিক্ষক হিসেবে তা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

আমাদের দেখা পছন্দের তালিকায় অনেক উল্লেখযোগ্য ছবি আছে। যে ছবিগুলো আমাদের ভাবতে ও ছবি বানাতে শিখিয়েছে, উৎসাহিত করেছে। এই তালিকা অনেক দীর্ঘ। সত্তর ও আশির দশকের দর্শক আমি। কত সুন্দর ছবি আমরা উপভোগ করেছি। আমাদের সোনালি অতীতের ছবি। আমিও বলি ছিল এক সময় আমাদের সোনালি দিন। সিনেমার দিন।

সিনেমা শিক্ষক একজন ছাত্রকে চলচ্চিত্র নির্মাণের পথরেখা দেখাতে অথবা ধারণা দিতে পারে; কিন্তু একটি সিনেমা নির্র্মাণ হয় নির্মাতার অন্তরের তাগিদে। তার মেধা, চর্চা, জ্ঞান, অভিজ্ঞান অথবা জীবন জগৎ দর্শনের অভিজ্ঞতায়। এটা প্রত্যেক নির্মাতার স্বোপার্জিত দীক্ষা। যার এই বিষয়ে মনোযোগ, ধারণা, উৎসাহ ও মগ্নতা আছে তার পক্ষেই সিনেমা নামে অধরা শিল্পটি ধরা দিতে পারে।

বই পড়ে, ক্লাস করে, সিনেমার শুটিং দেখে সিনেমা নির্মাতা হওয়ার ঘটনা-রটনা থাকলেও সেই মেধাবী নির্মাতাদের ব্যক্তি, সমাজ অথবা অধ্যয়ন জীবনটুকুও আমাদের জ্ঞানে নিতে হবে। আপনি সিনেমায় স্কলার, জ্ঞানের আলোতে হান্ড্রেড ভোল্টেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রি আছে; কিন্তু একজন প্রযোজককে আপনার জ্ঞান প্রতিভায় মুগ্ধ করার ক্ষমতা কতটুকু আছে? অবশ্য যদি আপনি প্রযোজক তালাশ করেন। তবে আপনি বিকল্প পুঁজিতেও শ্রেষ্ঠ কিছু নির্মাণ করতে পারেন।

মূলধারা আর বিকল্পধারার চলচ্চিত্র-এই দুটিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

দুই ধারার সমান গুরুত্ব আমার কাছে। উভয়ের লক্ষ্য একটাই­সিনেমা এবং সিনেমা। কেউ হয়তো চায় জনমানুষের বিনোদন ভাবনামূলক সিনেমা বানাবেন। কেউ হয়তো চায় self expression নামের কিছু। আমি কিছু বলতে চাই আমার কথা, আমার জন্য অথবা আমার রুচি মাফিক অথবা পছন্দের দর্শকের জন্য। স্বাধীনতা থাকবেই, সিনেমাতেও থাকবে। কোনো বিরোধ নয়, ভাবনা শুধু সিনেমা নিয়েই।

‘মানুষের জন্য সিনেমা’-কথাগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার মিল কতটা বলে মনে করেন আপনি?

কোন মানুষের কথা বলছেন। মানুষ এক সত্তা। দর্শক আর এক সত্তা। সব চলচ্চিত্র নির্মাতা বিশেষ এক শ্রেণির দর্শককে নির্বাচন করে। একথা সত্য, প্রতিটি মানুষই দর্শক। সব ছবিই মানুষের জন্য তৈরি হয়।

এখন চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে কেমন গল্প নির্বাচন করতেন? 

এই মুহূর্তে নির্মাণ ভাবনা আমার চিন্তায় নেই।

বর্তমান সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের সম্ভাবনা বা ভবিষ্যৎ কেমন বলে মনে করেন আপনি?

আমি কোনো জ্যোতিষবিজ্ঞানী নই। সবাই শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। আমিও দেখি। তরুণ নির্মাতারা অনেক ভালো কাজ করছে। একদিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নানা মাত্রিক শৈল্পিকগুণে দর্শকদের বিমোহিত করবে এবং করবেই।

রাষ্ট্রীয় অনুদানে এখন প্রচুর চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে, চলচ্চিত্রগুলো আপনার দৃষ্টিতে কেমন হচ্ছে?

এই প্রশ্নের উত্তর যে সকল দর্শক নিয়মিত ছবি দেখেন তারা বলতে পারবে। যারা হলে সিনেমা প্রদর্শন করেন অথবা যারা জাতির কাছে দায়বদ্ধতা স্বীকার করে অনুদানের অর্থে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, তাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর সঞ্চিত আছে। ধন্যবাদ। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //