সংকটে যাত্রাশিল্প

দুর্গাপূজা ও শীতকাল হচ্ছে যাত্রাপালার ভরা মৌসুম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই ভরা মৌসুমেও যাত্রাশিল্পের সাথে জড়িতরা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা অভাবেই বিনোদনের জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি আজ ঝুঁকির মধ্যে।

বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। সরকার শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় অনুপ্রাণিত করলেও মাঠপর্যায়ের অবস্থা খুবই জীর্ণশীর্ণ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গি হামলা এমন নানা অযুহাত দেখিয়ে যাত্রার অনুমোদন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলায় আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত যাত্রার ভরা মৌসুম। গত কয়েক বছর কোনো যাত্রাপালা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক জায়গায় হয়েছে। তাও চালু অবস্থায় বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। 

যাত্রাশিল্পের সাথে বহু লোকের জীবন-জীবিকা রয়েছে। প্রতিটি দলে শিল্পী, কলাকুশলী মিলিয়ে জনাচল্লিশেক লোক থাকে। এ হিসাবে তিন শতাধিক যাত্রা দল অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের জীবিকার সংস্থান। পালা মঞ্চস্থ না হওয়ায় এসব মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকেই চলে গেছেন অন্য পেশায়। অনেক দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক বাদক, পালাকার চলে গেছেন দল ছেড়ে। ফলে ক্রমেই আলোহীন হয়ে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী যাত্রার জৌলুস।

যাত্রা পালাকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ বলেন, এখন তো যাত্রাপালার মৌসুম দুর্গাপূজার সপ্তমী থেকে যাত্রার মৌসুম শুরু, আর এপ্রিলের ১৩ তারিখ পর্যন্ত এর শেষ ধরা হয়। আসলে আয়োজকদের উদ্যোগের অভাবে যাত্রাশিল্প এখন বন্ধের পথে। এমন অনেক আয়োজক রয়েছেন, যারা যাত্রাকে সামনে রেখে অশ্লীলতা প্রদর্শন ও অন্যান্য ব্যবসার জন্য ব্যস্ত থাকেন। যে কারণে অনেক সময় প্রশাসন অনুমতি দেয় না। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //