তরুণ-তরুণীদের নিয়ে মাদকের আসর বসাতেন পিয়াসা

রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেফতার মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা বাসায় আসর বসিয়ে এবং গান বাজনা করে তরুণ-তরুণীদের মাদক নিতে প্ররোচিত করতেন। 

সোমবার (২ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসামি ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসা থেকে ৭৮০ পিস ইয়াবা, আট বোতল বিদেশি মদ ও দুই ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বাসায় আসর বসিয়ে এবং গান বাজনা করে তরুণ-তরুণীদের মাদক নিতে প্ররোচিত করতেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, বর্তমান সরকার যেখানে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেখানে এ আসামি বাসায় মাদকের আসর বসাতেন।

অন্যদিকে, পিয়াসার আইনজীবী ফেরদৌস আল বাসির শুনানিতে বলেন, তিনি (পিয়াসা) এশিয়ান টেলিভিশনে চাকরি করতেন। তিনি মাদকের সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এটি সাজানো মামলা। আসামির বাসায় শুধুমাত্র সিসা পাওয়া গেছে। একথা আসামি নিজেও স্বীকার করেছেন। তিনি ভালো পরিবারের সন্তান। সার্বিক বিবেচনায় তার রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম মাদক মামলার আসামি পিয়াসার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর সিদ্দিক ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

রবিবার (১ আগস্ট) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি দল পিয়াসার বারিধারার ৯ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তার ঘরে টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে ডিবি। 

তার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে নয় বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। ফ্রিজে পাওয়া যায় সিসা তৈরির কাঁচামাল। বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া যায় তার বাসায়। পিয়াসার চারটি স্মার্টফোনও জব্দ করে ডিবি। 

অভিযানের সময় পিয়াসাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার সঙ্গে ডিবির দুজন নারী অফিসার ছিলেন। অভিযান শেষে পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি অফিসে নেয়া হয়। সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে গুলশান থানায় (মামলা নং-৩) পিয়াসার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীদের একজন। চার বছর পর আবারও আলোচনায় সেই পিয়াসা। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //