৩০০ প্রতিবন্ধী শিশু লালন পালন করি: জোবায়ের খান

জোবায়ের খান। মডেল ও অভিনেতা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে শোবিজে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। এর বাইরেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে। ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদ সালেহীন খানের সাথে। 

সাম্প্রতিক সময়ে কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন ?
এখন বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজের ফটোশুটের কাজ করলাম পূজা উপলক্ষে। সিনেমার কাজ আছে, নাটক আর শর্টফিল্ম নিয়েও ব্যস্ততা রয়েছে। 

শোবিজের বাইরে আপনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাই ?
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি একটি করছি। দোলা নামে আমি একটি সংস্থার চেয়ারম্যান। সাথে আমার মা যুক্ত আছেন এই কাজে। এখানে ৩০০ প্রতিবন্ধী বাচ্চাদেরকে লালন পালন করি। এই কাজটি আমি করছি ১২ বছর ধরে। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই এই কাজটি করে আসছি। কারণ একদিন তো দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে। দুনিয়াতে কিছু একটা ভালো কাজের সাথে যুক্ত থাকলাম। 


শোবিজে কীভাবে জড়ালেন?
শোবিজ এমন একটা জায়গা যেখানে সবার একটি দৃষ্টি থাকা। শোবিজ আমার ড্রিম। এখানে আমার প্রথম পা রাখা হয় বড় পর্দার মাধ্যমে। পরবর্তীতে আমি ফ্যাশন ইন্ডাস্টিতে যুক্ত হই। ২০১৯ এই মিস্টার ওয়ার্ল্ড টপ উইনার হই। পরবর্তীতে আমি মিস্টার ফটোজনিক চ্যাম্পিয়ন হই। এরপর পর আমার কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। 

মডেল এবং অভিনেতা এই দুটির মধ্যে কোনটিতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
২০১৯ এই মিস্টার ওয়ার্ল্ড টপ উইনার হয়ে মডেলিংটা শুরু করেছি। পরবর্তীতে আমি মিস্টার ফটোজনিক চ্যাম্পিয়ন হবার পর আমার সব ধরনের কাজের সুযোগ আসছে। মডেলিংয়ের প্রতি আমার দুর্বলতা সবসময় থাকবে। আর বর্তমানে আমি অভিনয়ে মনযোগী হয়েছি। কারণ অভিনয় দিয়ে আমার ক্যারিয়ার ধরে রাখতে হবে। মডেলিং এমন একটি ক্যারিয়ার সবসময় গ্লামারকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু গ্লামার তো সবসময় থাকবে না। আর অভিনয় সারাজীবনের জন্য একটি শক্ত ভীত গড়ে দেয়। আমি দুই মাধ্যমটিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। দুই মাধ্যমই আমার কাছে খুব প্রিয়।


ওয়েব সিরিজ বা ওটিটি প্লাটফর্মে সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
যুগ অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। ওটিটি প্লাটফর্ম একটা মজার মাধ্যম। এর ভালো দিকটি সবাই গ্রহণ করলে আমাদের দর্শক সংখ্যা অনেক বাড়বে। এই প্লাটফর্ম আমাদের চলচ্চিত্রর জন্য কিছুটা হুমকি হতে পারে। কিন্তু বড় পর্দার কাজ ছোটপর্দায় দেখে দর্শক তেমন মজা পাবে না। 

মিডিয়াতে তারকারা অনেকেই সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছে, এই নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
দর্শকরা আমাদের অভিভাবক। দর্শকরা আমাদের কাছে যা প্রত্যাশা করে তা সবসময় আমরা দিতে পারি না। তখনই আমরা সাইবার বুলিং এর শিকার হই। আমি অনুরোধ করবো আপনারা অভিভাবক হয়ে গঠনমূলক কাজের সমালোচনা করুন। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //