মঞ্চ-সিনেমায় সংগীতা

মাত্র তিন বছর বয়সে মঞ্চে গান করেছিলেন বাচিক ও অভিনয়শিল্পী সংগীতা চৌধুরী। সেই থেকে মঞ্চের প্রেমে পড়ে গেলেন তিনি। যে প্রেম এখনো সতেজ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন তিনি। ড. সেলিম আল দীনের ‘যৈবতী কন্যার মন’ ছিল তার প্রথম কাজ। বর্তমানে সংগীতা নাট্যকেন্দ্র দলের হয়ে কাজ করছেন। তার পাঁচটি নাটকের নিয়মিত মঞ্চায়ন হচ্ছে।

সে প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, নাট্যকেন্দ্রের পুণ্যাহ নিয়মিত মঞ্চে প্রদর্শন হচ্ছে। নাটকটি রচনা করেছেন বদরুজ্জোমান আলমগীর ও নির্দেশনা দিচ্ছেন ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। নাট্যম রেপার্টরির প্রযোজনায় ‘কোথায় জলে মরার চলে’ আমার আরেকটি কাজ। এটি নির্দেশনায় আছেন ড. আইরিন পারভিন লোপা। তাদেরই আরেকটি কাজ করছি মঞ্চসারথি আতাউর রহমান স্যারের সঙ্গে ‘ডিয়ার লায়ার’। তৌকীর আহমেদের নির্দেশনায় ‘তীর্থযাত্রী’ করছি। নাট্যরূপ দিয়েছেন হুমায়ূন কবির ও তৌকীর আহমেদ। শিল্পকলা একাডেমির ‘হ্যামলেট’-এ অভিনয় করছি নিয়মিত। এছাড়া বাংলা থিয়েটার প্রযোজিত মামুনুর রশীদের ‘নীলদর্পণ’ নাটকেও অভিনয় করছি।

মিষ্টি মেয়ে কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় পা রাখেন এ অভিনেত্রী। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’ সিনেমায়। চলতি মাসেই তার অভিনীত সিনেমা ‘মাইক’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল (বিপুল)।

সংগীতা বললেন, এ সিনেমায় এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি যা দর্শক পর্দায় দেখেনি। সিনেমাটির জন্য বিভিন্ন স্কুলে প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করেছি। এটি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। তাই স্কুলগুলোতেই প্রথম ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। 

নিজের অন্যান্য সিনেমার খবর জানিয়ে সংগীতা বললেন, আমি শ্যাম বেনেগালের নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে ‘সায়েরা খাতুন’ চরিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমার কাজ প্রায় শেষ। চলতি বছরের শেষে মুক্তি পেতে পারে এটি। শহীদ রায়হান পরিচালিত ‘মনোলোক’ সিনেমাতেও কাজ করেছি। এখানে ‘বাসন্তী’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিনটি সিনেমা নিয়েই আমি আশাবাদী।

ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও সংগীতা সক্রিয়। ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ওয়েব সিরিজ কাইজার, মিশন হান্টডাউন ও ওয়েব ফিল্ম স্কুটি। প্রতিটি কাজেই প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। শিগগিরই আরও কাজ শুরু করবেন।

তার ভাষ্য, শিগগির বঙ্গ ও হইচইর দুটো সিরিয়ালে অভিনয় শুরু করব। নেটফ্লিক্সের জন্য একটি ওয়েব ফিল্মের কাজও সহসা শুরু হবে। সত্যি বলতে, এখন ওটিটিতে বেশি সময় দিচ্ছি। সংগীতা সংস্কৃতিমনা পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। ১৯৯৩ সালে মায়ের নামে গড়ে তোলা ‘কস্তুরি সংস্কৃতি অনুশীলন কেন্দ্র’ পরিচালনা করছেন। যার একটি অনুষঙ্গ ‘কস্তুরি বাচিক পাঠশালা’। যেখানে শিশু, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের আবৃত্তি, উপস্থাপনা, গল্প বলা ও কণ্ঠ অভিনয় শেখানো হয়। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যার শাখা রয়েছে। নতুন কুঁড়ি থেকে মূলধারার সংস্কৃতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া সংগীতার উপলব্ধি, আমরা শুদ্ধ ও সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আচরণ অনুষ্ঠান পাল্টে গেছে। আমাদের আবার সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় ফিরতে হবে।

শুদ্ধ ও সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার বিকল্প নেই। এছাড়া সংগীতা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রিভিউ কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ সিনেমা টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) গভর্নিং বডির সদস্য।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //