দুদিকে রাজ-পরী

ঢাকায় সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানা কারণে খবরের শিরোনামে আছেন তিনি। শোবিজে তার কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত চর্চাই বেশি। বিশেষ করে প্রেম-বিয়ে ও জেলসহ আরও কিছু খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরগরম অভিনেত্রী।

মিডিয়ায় কাজ শুরু করার পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই গ্ল্যামারকন্যার বিয়ের নানারকম সংবাদ আসে। এছাড়া অনেকের সঙ্গে প্রেমেও জড়ান বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে এটি নিয়ে তিনি কখনো মুখ খোলেননি। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীমণির প্রেমের খবর প্রকাশ হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তাদের সেই প্রেমের বাগদান সম্পন্ন হয়। সে সময় জানা যায় পরের বছর ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করবেন তারা। কিন্তু সেটি আর হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৯ মার্চ দিনগত রাতে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে বিয়ে করেন পরীমণি ও পরিচালক কামরুজ্জামান রনি।

সেই সময় পরীমণি বলেন, ‘অনেক হিসাব-নিকাশ করে তো জীবনের পরিকল্পনা করাই যায়। কিন্তু জীবন চলে তার নিজস্ব পথে। জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ে সবই আল্লাহর হাতে, এটা আমি খুবই মানি। আমার কাছে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটার ওপর নির্ভর করে মানুষ জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’ কিন্তু তিন টাকা দেনমোহরের সেই বিয়েও ভেঙে যায় নীরবে।

তিন টাকা দেনমোহরের বিয়ের পর ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। এর আগে ২০২১ সালে গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমণির পরিচয় ও প্রেম হয়। পরে তারা সে বছরের ১৭ অক্টোবর প্রথম ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন বলে জানান।

এবার আর সেই বিয়েও টিকল না। রাজ-পরী দুজন দুদিকে চলে গেলেন। রাজের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন পরীমণি।  গেল ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের উদ্দেশে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। রাজও সেই ডিভোর্স লেটার পেয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে পরীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান অভিনেতা।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ভালো যাচ্ছিল না পরীমণি-শরীফুল রাজের সংসার। বছরের শুরুতে স্বামী তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন পরীমণি। সে সময় ফেসবুকে এই অভিনেত্রী একটি পোস্ট দেন, সেখানে তিনি তার রক্তাক্ত বিছানার ছবিও পোস্ট করেন। এবং সেই পোস্টে অভিনেত্রী স্পষ্টতই জানান যে, এভাবে তিনি আর রাজের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। এরপরও বেশ কয়েক দফায় অভিমান ভুলে আবার এক হয়েছেন তারা। তবে গেল মে মাসে রাজের ফেসবুক থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রাজের সঙ্গে পরীমণির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনার পর পরীমণি বলেন, সংসারজীবনের অশান্তি এবং ব্লেম গেম থেকে পরিত্রাণ চান তিনি।

পরীমণি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি আর রাজের বউ নই। আমি এই সম্পর্ক টেনে নিতে চাই না।’ রাজ-পরীর দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। কখনো বিদ্যা সিনহা মিম, কখনো সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অন্য কাউকে ঘিরে রাজের প্রতি সন্দেহের তীর ছুড়েছেন পরীমণি।