বিআইবিএমের গবেষণা

পাঁচ কারণে পিছিয়ে এসএমই খাত

প্রক্রিয়াগত জটিলতায় পণ্য রপ্তানি করতে না পেরে এগিয়ে যেতে পারছেন না এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা। বিশ্ব বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জামানত, উচ্চ সুদহার ও সঠিক দলিলের অভাবসহ পাঁচ কারণে বাতিল হচ্ছে এসএমইর রপ্তানি আবেদন। এমন অবস্থায় দেশের ডলার সংকট নিরসন ও প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান তৈরি করতে এসএমই সহায়ক নীতিমালা প্রয়োজন।

আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য। 

‘বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থায়ন এবং এসএমই’র মধ্যে সেতুবন্ধন’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও কনসালট্যান্সি) ড. আশরাফ আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। 

গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, ২০২১ সালে এসএমই খাতে বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহার হয়েছে। তবে রপ্তানির লাগাম টেনে ধরায় ২০২২ সালে সে হার নেমে এসেছে মোট এসএমই ঋণের ২১ শতাংশে। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় এই হার আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। 

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত মোট লেনদেনের মাত্র ৯ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান।

মোটা দাগে এসএমই উদ্যোক্তাদের রপ্তানি আবেদন বাতিলের পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়। প্রথমত, অপর্যাপ্ত জামানত। জামানতের অভাবে ৩৬ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তার রপ্তানি আবেদন বাতিল হয়। উচ্চ সুদহারের কারণে বাতিল হয় ১৮ শতাংশ, পূর্বের লেনদেনের তথ্য না থাকায় ১৭ শতাংশ, উচ্চ ঝুঁকির কারণে ১১ শতাংশ ও পর্যাপ্ত দলিলের অভাবে ১০ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়।

পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, দুটি বিদেশি ও ২৩টি বেসরকারি ব্যাংকের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএম সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ এবং রাহাত বানু, বিআইবিএম প্রভাষক রাজীব কুমার দাশ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ পাল, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুল জব্বার, ঢাকা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু জাফর  এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আলম।

রপ্তানির আবেদন বাতিল হওয়া এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বড় বাধা বলে উল্লেখ করা হয় গবেষণায়। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //