গরমের তেজ আরও বাড়বে

প্রকৃতিতে বইছে দাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। এমন গরমে দিশাহারা হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জেলার মানুষ। এই গরমে সবথেকে বেশি কষ্ট হয় শিশু ও বয়স্কদের। গরমের তীব্রতা আরও কয়েক দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার ওপর গনগনে সূর্য এমন দাপট দেখাচ্ছে যে, মানুষ তো বটেই, ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও। 

বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা। এক সপ্তাহ আগে দেশের পাঁচ জেলা দিয়ে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এ বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কেটেছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শিগগিরই স্বস্তির সুখবর তো নেই-ই, উল্টো এমন দশা চলতে পারে আরও বেশ কয়েক দিন। 

আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গরমের তেজ আগামী কয়েক দিনে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা আরও সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বয়ে যেতে পারে তীব্র আকারে তাপপ্রবাহ।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা নিয়ে আমরা সতর্কবার্তা দিয়েছি। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তাকে আমরা মৃদু থেকে মাঝারি বলছি। কিন্তু যখন তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রিতে চলে যাবে, তখন সেটি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ কারণেই সতর্কবার্তা দেওয়া।

এদিকে এমন বৈরী আবহাওয়া ফসলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের জমি রোদে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে সেচের পানির সংকট। এই সময়ে কৃষি ও ফসলের সুরক্ষায় বেশকিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //