আগর গাছের ইংরাজি নাম Agar Wood। বৈজ্ঞানিক নাম Aquilaria malaccensis Lam।
পরিচিতি
আগর গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী বৃহৎ আকারের চিরসবুজ বৃক্ষ, উচ্চতায় ৫০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বাগানের অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে যতদিন না মাথা ছাড়িয়ে যায় ততদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। কেইটোমিয়াম, গ্লোবোসাম, ফুসারিয়ামসহ বেশ কিছু ছত্রাকের সংক্রমণে আগর গাছে আগর উৎপন্ন হয়। আক্রান্ত স্থানের কাঠ থেকে কাষ্ঠপাতনের মাধ্যমে আগর সংগ্রহ করা হয়। পাতা বর্শাফলাকৃতি, ৮ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৫ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুল গুচ্ছবদ্ধ, পাপড়ি সবুজাভ-সাদা। ফুল-ফল ধারণ: জুন-আগস্ট।
আবাসস্থল
পাহাড়ি ঢালু অঞ্চলের কংকরময় মাটি।
আভ্যন্তরীণ বিস্তৃতি
মৌলভীবাজার, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা। মৌলভীবাজার জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আগর তৈরির অনেক আগর বাগান আছে।
বহির্বিশ্বে বিস্তৃতি
আদিনিবাস পূর্ব হিমালয়। ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা রাজ্যসহ ভুটানে বিস্তৃত।
গুরুত্ব ও ঔষধি গুণাগুণ
আতর, সুগন্ধি তেল ও পারফিউম তৈরিতে আগর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। চর্মরোগ, ব্রংকাইটিস্, অ্যাজমা ও বাত নিরাময়ে কার্যকর। হিক্কারোগীকে মধুর সঙ্গে আগর মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। ক্ষুধামন্দা, পাকস্থলীর দুর্বলতায়ও ব্যবহৃত হয়। ভালোমানের আতর মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বংশবিস্তার
বীজ দ্বারা।
বর্তমান অবস্থা
আশংকামুক্ত।
সংরক্ষণ প্রস্তাবনা
সুগন্ধিজাতীয় দ্রব্য উৎপন্নকারী বৃক্ষ। বাণিজ্যিক কারণে ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh