মানুষের মুক্তি অনুদানে নাকি বিপ্লবে

ঋগ্বেদে নিতান্ত অনবধানবশত সম্ভবত সংকলকরা একটি শব্দ রেখে দিয়েছিলেন। বলা হতো ঋষিরা যদি বেদের মূল ভাব অক্ষুণ্ন রেখে একটি শব্দও কমিয়ে ফেলতে পারতেন, তাহলে তারা পুত্রলাভের আনন্দ ও পুণ্য লাভ করতেন। আসলে এখানে সম্পাদনার কথা বলা হয়েছে। যুগোপযোগী সম্পাদনা।

যাতে করে বেদকে পরবর্তী যুগের মানুষ ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে না ধরে শুধু শাস্ত্রগ্রন্থ ভেবে মাথায় তুলে রাখতে পারে। ভুলক্রমে হতে পারে। আবার হতে পারে এই ভেবে যে শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য হয়তো পরবর্তী যুগের মানুষরা ভুলে গেছে। অতএব শব্দটি বিদ্যমান থাকলেও হয়তো তা সামাজিক তাৎপর্য নিয়ে সেভাবে আর আগামী দিনের মানুষের সামনে উদ্ভাসিত হতে পারবে না। শব্দটি হচ্ছে-‘ঋত’। 

ভারততত্ত্ববিদ ভিটারনিৎসের মতে, ঋত হচ্ছে সৌরজাগতিক শৃঙ্খলা। আর ম্যাকডোনেল ঋতকে বলছেন বাহ্যিক ও নৈতিক নিয়ম। প্রায় সমসুরেই বলেছেন রাধাকৃষ্ণন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তগুলো যে একপেশে সেকথা প্রথম জোরেশোরে উত্থাপন করলেন দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তার মতে ঋত বলতে নিশ্চিতভাবেই আরও কিছু বোঝানো হতো যেদিকে আধুনিক পাশ্চাত্যম্মন্য পণ্ডিতরা নজর দিতে চাননি।

ঋত প্রসঙ্গে যেটি সর্বাগ্রে লক্ষণীয় তা হচ্ছে বৈদিক যুগের অনেক কবি ঋতের অবলুপ্তির জন্য দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ঋত যাতে আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে তার জন্য আকুল প্রার্থনা করছেন। ঋত যদি নিছকই নিয়মশাসিত প্রকৃতির প্রতীক হয়, তাহলে তা অবলুপ্তই বা হবে কেন, সেই অবলুপ্তির জন্য বিলাপই বা করা হবে কেন, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রার্থনাই বা করা হবে কেন?

দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ঋগ্বেদের অনেকগুলো শ্লোক বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, ঋত মানুষকে অন্ন, গোধন ও জীবনের অপরাপর প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান করে। ঋতই সবকিছুর পরিচালক। অ্যাঙ্গেলসের অনুসরণে দেবীপ্রসাদ দাবি করছেন যে ঋত হচ্ছে প্রাচীন কৌম সমাজের ন্যায়নীতির অনুশাসন, যার অবলুপ্তির বেদনা বৈদিক কবিরা অনুভব করেছিলেন। 

একমাত্র অবিভক্ত তথা আদিম সাম্যবাদী সমাজের পরিপ্রেক্ষিতেই ঋতের সঠিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা যায়। যে সমাজে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অস্তিত্ব ছিল না, তখনকার যৌথ জীবন ছিল যৌথ শ্রমের উপর প্রতিষ্ঠিত। যৌথ শ্রম থেকে আহরিত বা উৎপাদিত বা সংগৃহীত সম্পদও সবাই ভাগ করে নিয়ে ভোগ করত।

এই ‘ভাগ করে ভোগ করা’ই ছিল ঋতের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই সমানতা তখনকার সূক্তগুলোর প্রধান আবেদন। তিনটি সূক্তে পর পর বলা হচ্ছে-‘তোমরা একত্র মিলিত হও, এককণ্ঠে ঘোষণা করো, একত্রে মন বিনিময় করো; যেরূপ অতীতের দেবতাগণ সচেতনভাবে একত্র বসিয়া তাঁহাদের ভাগ গ্রহণ করিতেন।’

‘মন্ত্র সমান হউক, সমিতি সমান হউক, মন সমান হউক, বিচার একরূপ হউক। তোমাদের সহিত একই মন্ত্রে আমি মন্ত্রণা করি, তোমাদের সহিত একই হবি দ্বারা আমি হোম করি।’ ‘তোমাদের প্রচেষ্টা সমান হউক, হৃদয়গুলি এক হউক, মন এক হউক-যাহাতে তোমাদের ঐক্য স্থাপিত হয়।’

সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘অন্যান্য আদিম সমাজের মতো বৈদিক কবিরাও আদিতে যৌথ জীবনযাপন করতেন; তখন তাদের সমাজ-সংগঠন প্রাক-বিভক্ত বা আদিম সাম্য সমাজ। এই পর্যায়ের চেতনাই ঋতের পরিকল্পনায় প্রতিফলিত। কিন্তু কালক্রমে বিশেষত যুদ্ধ ও লুণ্ঠনমূলক কীর্তির প্রাধান্যের ফলে সেই আদিম সাম্য সংগঠন ধূলিসাৎ হয় এবং তারই ধ্বংসস্তূপের উপর আবির্ভূত হয় ব্রাহ্মণ-সমর্থিত ক্ষত্রিয়-শাসিত সুস্পষ্ট শ্রেণিবিভক্ত সমাজ। স্বভাবত ঋতের চেতনাও তাই বিলীন হয়ে যায়।’

এখন আর সমান ভাগ নয়। এখন বৈষম্য এসে গেছে। শাস্ত্র তাকে এই বলে সমর্থন করছে যে-‘যে হরিবান ইন্দ্র সোমযুক্ত ব্যক্তিকে বল প্রদান করেন এবং শত্রুরা যাহাকে হিংসা করিতে পারে না, সেই ইন্দ্রের ভাগ জয়শীল ব্যক্তির ভাগের ন্যায় সর্বাপেক্ষা অধিক।’

ঋত তখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে শ্রেণিবিভক্ত সমাজ। ‘লোকহিত’ নামক ধারণাটিও তখন থেকেই উৎপন্ন। যেখানে লোকসকল সমান সেখানে তথাকথিত লোকহিতের প্রশ্নই আসে না। তখন দাতা শ্রেণির উদ্ভব। যাদের হাতে উদ্বৃত্ত সম্পদ। মানুষ আকুল হয়ে যখন ‘ঋত’ ফিরিয়ে আনার জন্য সংগঠিত হয়, দাবি তোলে সমস্বরে, তখনই লোকহিতৈষণার নামে সম্পদের কিছুটা প্রবাহ করা হয় দরিদ্রমুখী।

যার আধুনিক নাম সংস্কার ও কল্যাণমূলক অর্থনীতির সমাজ। যেখানে ‘সমাজের ধন’ চুরি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে বিত্তবানে পরিণত হওয়া ‘আধুনিক ইন্দ্রদের’, এনজিও নামধারী মধ্যস্বত্বভোগীদের ও করপোরেট পুঁজির ধারকদের বলা হয় ‘লোকহিত’র মাধ্যমে ইহকালে নিজেদের আত্মপ্রসাদ ও পরকালে স্বর্গ লাভের সুযোগ গ্রহণ করতে এবং একই সঙ্গে শোষিত মানুষকে বিপ্লবের পতাকাতলে সংহত হওয়ার প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে।

দুই

ফিলানথ্রপির ধারণাটিই সূক্ষ্ণ বিচারে মানবজাতির জন্য অবমাননাকর। ধরিত্রীর সন্তান হিসেবে যা প্রত্যেক মানুষের ন্যায্য অধিকার, সেই অধিকারকে অস্বীকার করে তাকে দানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং সেই ধারণাটির সম্মতি শোষিত মানুষের কাছ থেকে প্রচারে-কৌশলে আদায় করে নেওয়ার মাধ্যমে শোষকশ্রেণি এক ধরনের বিরাট বিজয় উদযাপন করে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে। তাদের এই কাজে চিরদিন সহায়তা করে যাচ্ছে সমাজের এই ধরনের স্থিতাবস্থার সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মজীবী শ্রেণি। কেউ কেউ তো অন্য রকম কোনো সমাজের কথা ভাবতে বা বিশ্বাস করতে অভ্যস্ত পর্যন্ত নন। 

এমনকি যাদের যুগোত্তীর্ণ ও মহত্তম প্রতিভা বলেও মানবজাতি স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে, তাদেরও অনেকেই বিদ্যমান ব্যবস্থার অসঙ্গতি আমলে নিতে অস্বীকার করেছেন। গ্রিক নগর রাষ্ট্রের গঠন ও তার ভিত্তি দাসপ্রথা নিয়ে প্লেটোর মনে কোনো প্রশ্ন তো জাগেইনি বরং তিনি এই বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে দাসপ্রথাকে ভিত্তি করে যে নগররাষ্ট্র গড়ে উঠেছে, সেগুলো মানুষের জ্ঞানচর্চার প্রচণ্ড সহায়ক।

প্লেটোর অনুভূতির আক্ষরিক অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘আমরা চমৎকার একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যার ফলে আমাদের নাগরিকরা শারীরিক শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকতে সক্ষম হচ্ছেন। কারিগরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে একটি শ্রেণির হাতে, আর কৃষির দায়িত্ব পালন করছে দাসশ্রেণি। এরা সবাই মিলে আমাদের নাগরিকদের জন্য সেই রকম একটি অবকাশ তৈরি করে দিয়েছে যে অবকাশ বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার প্রাথমিক পূর্বশর্ত। আর বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চাই তো সেই নির্ণায়ক যা পশু থেকে পৃথক করেছে মানুষকে।’ 

কিছু মানুষকে পশু থেকে পৃথক হয়ে বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চার সুযোগ করে দিতে অন্য মানুষগুলো যে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে, তাদের জন্য কি নাগরিক সমাজের কোনো করণীয় রয়েছে? প্লেটো বলছেন, আছে। তা হচ্ছে মাঝে মাঝে তাদের জন্য জনহিতকরী কিছু পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে করে তারা ন্যূনতম শারীরিক সবলতা বজায় রেখে অব্যাহতভাবে ‘বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চকারী নাগরিক সমাজের’ সেবা করে যেতে পারে।

শারীরিক শ্রমের সঙ্গে জ্ঞানচর্চার এই বিযুক্তি একই সঙ্গে মানবসমাজে শ্রেণিবিভক্তি এবং ভাববাদী দর্শনের উদ্ভবের জন্য দায়ী। আর যে বুদ্ধিজীবীরা এই বিভক্তিকে কল্যাণকর ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান করেন, তারা ক্রমশই পরিণত হন মানবতাবিরোধী, অগণতান্ত্রিক, আত্মকেন্দ্রিক, সংবেদনাহীন এক প্রাণীতে, যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে শোষক-শাসক শ্রেণির মতাদর্শের পক্ষে যুক্তি (কুযুক্তি) ও সম্মতি সংগ্রহ করা। এরা দাবি করেন যে জ্ঞানই হচ্ছে ব্রহ্ম।

ব্রহ্মচর্চা মানেই হচ্ছে জ্ঞানকে শ্রম থেকে বিযুক্ত করে নিয়ে তার চর্চায় মগ্ন থাকা। ব্রহ্ম শব্দটির যে এককালে অন্য অর্থ ছিল এবং ব্রহ্ম বলতে এককালে অন্ন, পুরোহিত, যজ্ঞের উপকরণ-সবকিছুকেই বোঝানো হতো, সেই জায়গা থেকে সরে এসে তারা শব্দটির তাৎপর্যকে একটি বদ্ধ জায়গার মধ্যে সংকুচিত করে রেখেছেন। 

শ্বেতকেতু অনেক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। তার পিতা তাকে কয়েক দিন খাদ্য না দিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে অন্নই ব্রহ্ম। আবার ভৃগুর ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টান্ত দেখা যায়। ভৃগু প্রথমে সজ্ঞার দ্বারা বুঝে নিয়েছিলেন যে অন্নই যথার্থ ব্রহ্ম। কিন্তু তার কুল-পুরোহিতরা তাকে এই জ্ঞান থেকে সরে আসতে বাধ্য করেন এই বলে যে এটি নিতান্ত শিশ্নোদরসর্বস্বদের ভাবনা হতে পারে। তার মতো জ্ঞানচর্চাকারীর এই চিন্তা শোভা পায় না। জাতিচ্যুত হবার ভয়ে ভৃগু এই চেতনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।

আর শ্বেতকেতুর পিতাও পরবর্তীকালে তাকে এই চিন্তায় স্থিত রাখতে পারেননি। দেখা যাচ্ছে ভাববাদের নামে এমন এক দার্শনিক মতবাদের সূচনা হচ্ছে যার মূল কথাই হচ্ছে জগৎ ও জীবনকে অস্বীকার করে ‘বিশুদ্ধ যুক্তি’ বা ‘বিশুদ্ধ জ্ঞানকে’ অবলম্বন করা। এই বিশুদ্ধ জ্ঞানের ক্ষেত্রে কর্মের কোনো স্থান নেই। এটি তখনই সম্ভব হতে পারে যখন সমাজের একটি শ্রেণি অপরের উৎপাদিত উদ্বৃত্তে জীবনধারণের সুযোগ পায়। 

দৈহিক শ্রমের বাধ্যবাধকতা না থাকার দরুন বাস্তব জগতের স্থূল দিকগুলোর প্রতি তাদের কোনো মানসিক বাধ্যবাধকতা থাকে না। কেননা শ্রম, কর্ম ও জ্ঞানের সম্মেলন দ্বারাই একমাত্র বাস্তব জগৎকে চেনা যায়। কিন্তু দাবি করা হয় যে অন্ন নয় বরং আনন্দই হচ্ছে ব্রহ্ম। সত্যই শ্রম না করে অপরের শ্রমফলভোগী হতে পারলে জীবনে আনন্দই সত্য হয়ে ওঠে, জাগতিক বিষয়গুলো হয়ে ওঠে তুচ্ছ ও অপ্রয়োজনীয়, সেইসব বিষয়ের জ্ঞানও হয়ে ওঠে অজ্ঞান বা অবিদ্যা, বস্তুজগতের সঙ্গে সম্পর্করহিত ‘বিশুদ্ধ জ্ঞান’, ‘বিশুদ্ধ তত্ত্ব’, ‘বিশুদ্ধ চৈতন্য’ই হয়ে ওঠে সব মানসিক কর্মকাণ্ডের উপজীব্য। তখন ঘোষিত হতে পারে যে-বেদ (জ্ঞান) ও কৃষি পরস্পরের শত্রু। অথচ সমাজ যত দিন শ্রেণিহীন ছিল তত দিন প্রজ্ঞা, ধী এবং কর্ম; কর্ম, ক্রতু এবং প্রজ্ঞা; শচী, কর্ম এবং প্রজ্ঞা ছিল সমার্থবাচক শব্দ। লোকবঞ্চনার মতো লোকহিত শব্দটিও তাই শোষণমূলক সমাজের উপজাত।

তিন

‘আমরা পরের উপকার করিব মনে করিলেই উপকার করিতে পারি না। উপকার করিবার অধিকার থাকা চাই। যে বড়ো সে ছোটোর অপকার অতি সহজে করিতে পারে, কিন্তু ছোটোর উপকার করিতে হইলে কেবল বড়ো হইলে চলিবে নাছোটো হইতে হইবে, ছোটোর সমান হইতে হইবে। মানুষ কোনোদিন কোনো যথার্থ হিতকে ভিক্ষারূপে গ্রহণ করিবে না, ঋণরূপেও না, কেবলমাত্র প্রাপ্য বলিয়াই গ্রহণ করিতে পারিবে।

হিত করিবার একটিমাত্র ঈশ্বরদত্ত অধিকার আছে, সেটি প্রীতি। প্রীতির দানে কোনো অপমান নাই, কিন্তু হিতৈষিতার দানে মানুষ অপমানিত হয়। মানুষকে সকলের চেয়ে নত করিবার উপায়তাহার হিত করা অথচ তাহাকে প্রীতি না করা।’ [লোকহিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]

এভাবে মানুষকে নত করার অধিকার কারও নেই। এনজিওর নেই, করপোরেট পুঁজির নেই, দাতা সংস্থার নেই। তাহলে আমরা কি লোকহিতে বিশ্বাস করি না? করি। এ যুগের একমাত্র ফিলানথ্রপি হচ্ছে বিপ্লবী রাজনীতি, যার মাধ্যমে সমাজের বর্তমান অসম বিন্যাসকে পাল্টে মানবসমাজে হৃত ‘ঋত’কে ফিরিয়ে আনা যাবে।   

লেখক : কথাসাহিত্যিক

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //