ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার (২০ মার্চ) দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণকারী ম্যাক্রো ‘অগ্নিপরীক্ষায়’ পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর একটি বিল পাস করে ম্যাক্রো সরকার। সিদ্ধান্তটি ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার ম্যাক্রো ও তার সরকারের ওপর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা সত্ত্বেও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়াটা ম্যাক্রো সরকারের জন্য বিব্রতকর।
মধ্যপন্থী দল লিক্রো প্রথম অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এতে সমর্থন জানায় উগ্রডানপন্থী নুপেস জোট। এর কয়েক ঘণ্টা পর অপর উগ্র-ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। সংসদে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোর দল। তারপরও একাধিক-দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি এগিয়ে যেতে ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থীসহ সব দলের এক জোট হতে হবে।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়। এরপরই আন্দোলনে নামেন মানুষ। গত তিন দিন ধরে এ নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh