কে হচ্ছেন তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? বিশ্লেষকদের মত, নাটকীয়তায় ভরা নির্বাচনের রান অফে জয়ের পাল্লা ভারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের। নানামুখী সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতার কারণে বেশ চাপে ছিলেন এরদোগান। জনমত জরিপে এগিয়ে থেকেও অবশ্য এই নেতাকে টেক্কা দিতে পারেননি কামাল কিলিচদারোগলু। প্রথম ধাপে অল্পের জন্য ম্যাজিক ফিগারে স্পর্শ করতে না পারলেও এবার এরদোগান পেয়েছেন কিংমেকার হিসেবে বিবেচিত সিনান ওগানের সমর্থন।
অনেকেই তুরস্কে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান যুগের শেষ দেখেছিলেন। নির্বাচনের আগে প্রায় সব জনমত জরিপেই পিছিয়ে ছিলেন টানা দুই যুগ ক্ষমতায় থাকা এই রাজনীতিবিদ। জরিপের ফলাফলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রথম ধাপের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আবারও বাজিমাত করেছেন তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। যদিও কাঙ্ক্ষিত পঞ্চাশ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন গড়িয়েছে রান অফ অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাপে।
লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, ভয়াবহ ভূমিকম্প পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতা; ধারণা করা হয়েছিলো এরদোগান থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। ছয়-দলীয় বিরোধী জোটের সমর্থন নিয়ে বেশ জোরেশোরেই প্রচারণা চালিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ কামাল কিলিচ-দারোগলু। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে বেশ চাপেই ছিলেন এরদোগান।
দ্বিতীয় ধাপের আগে যেন পাশার দান উল্টে গেছে। ৫ দশমিক দুই শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করা সিনান ওগানকে ভাবা হচ্ছে রান অফের কিংমেকার। সেই ওগানের সমর্থনও পেয়েছেন এরদোগান। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনে জয় পাওয়া এরদোগানের আবার ক্ষমতায় যাওয়ার শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি।
যদিও হাল ছাড়ছেন না কামাল কিলিচদারোগলু। প্রথম ধাপে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ায় নিজের অবস্থান বদলে ফেলেছেন তিনি। নিজেকে আরও কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী প্রমাণের চেষ্টা করছেন তিনি। যদিও তুর্কি জনগণের একদল পরিবর্তন চাইলেও আরেক দল ভরসা রাখতে চান আগের সরকারেই।
ইতিহাসের প্রথমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়ালো দ্বিতীয় ধাপে। বিভিন্ন জরিপ বলছে, প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন এমন অনেকেরই দ্বিতীয় ধাপের ভোট দেয়ায় আগ্রহ নেই। বিশ্লেষকদের মত, এমন পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতিও বড় প্রভাব ফেলতে পারে দুই প্রার্থীর ভোট ব্যাংকে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh