শরীর ফিট বা ঠিক রাখতে চাইলে খাদ্যতালিকায় বিট রাখতে পারেন। যারা এই শীতের মৌসুমেও সতেজ ত্বক চান, তাদের জন্য সেরা শীতের সবজি এই বিট। শরীরে ক্ষতিকর উপাদান বা বিষমুক্ত করার বিশেষ উপাদান আছে বিটে। বিট দিয়ে সহজেই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর নানা পদ বানানো যায়। বিটের তরকারি, বিটের স্মুদি, বিটের সালাদ, বিটের পরোটা বা গোলা রুটি ইত্যাদি।
শীতে বেশি করে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। জেনে নিন কারণগুলো:
ওজন নিয়ন্ত্রণ
বিটে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য বিট খুব ভালো খাবার।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এতে রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
রক্ত পরিশুদ্ধ করে
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে বিট রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। তাছাড়া একাগ্রতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
বিটে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা জরুরি পুষ্টিগুণ। ফলে রোজ খাবারে বিট রাখলে তা শরীরের যত্ন নেবে।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই লাল রঙ। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে। ফলে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।
ত্বকের সুরক্ষায়
ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে নিয়মিত বিট খেতে পারেন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি, তারা বেশি করে বিট খাবেন। এতে প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকায় বিটের জুস নিয়মিত খেলে মুখে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
শরীর আর্দ্র রাখে
শীতের সময় ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। শীতের এই শুষ্কতা দূর করতে শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না; ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। শরীর আর্দ্র রাখতে পারে বিট।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh