টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। শুধু লাল পাকা টমেটোই নয়, কাঁচা টমেটোও খাওয়া যায় রান্না করে। মাছের ঝোল থেকে শুরু করে চাটনি, ভর্তা কিংবা সালাদ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় টমেটো। খাবারের স্বাদ যেমন বাড়ায় সবজিটি, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
- সবুজ টমেটোতে লাল টমেটোর চেয়েও বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি। আর তাই এটি শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
- পাশাপাশি হাড়, দাঁত, মাড়ি এবং ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এই ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে ফলে সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়ায় করতে পারে সহজেই।
- এক কাপ বা ২৪০ গ্রাম কাঁচা টমেটোয় আছে প্রায় ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে এবং প্রায় ৪৫ মিলিগ্রাম খনিজ ফসফেট। যা বাতের ব্যথা কমাতে ও হাড় ক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-এ-এর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমেটোতে। তাই দীর্ঘদিন যদি চুলকে সুন্দর রাখতে চান, নিয়মিত টমেটো খান।
- টমেটোয় থাকা লাইকোপিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় থাকা লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল ও পেটের ক্যানসার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- কাঁচা টমেটোয় থাকে কিউমেরিক ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। যা কার্সিনোজের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
- একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বীজসমেত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
- এমনকি যারা একান্তই ধূমপান ছাড়তে পারছেন না, তারা নিয়মিত কাঁচা টমেটো খেলে ধূমপানের আসক্তিও কমতে শুরু করবে।