পাহাড়ি খাবারের প্রতি কমবেশি সবারই একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে। নানা পদের বিচিত্র সেসব খাবারের স্বাদ নিতে ইচ্ছা করলেও পাহাড়ে গিয়ে সেই খাবার খাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে ঢাকায় কিছু দোকান আছে, যেখানে পাহাড়ি খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়। সেখানকার খাবারে যেমন পাহাড়ের স্বাদ মিশে থাকে, তেমনি মুখে দিলে মুহূর্তেই পাহাড়ি পরিবেশের অনুভূতি নিয়ে আসা যায়। আজ আমরা জানব এই ব্যস্ত শহরে কোথায় মিলবে পাহাড়ি খাবার।
হেবাং : ঢাকায় পাহাড়ি খাবারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে রেস্তোরাঁর নাম মাথায় আসে সেটা হলো হেবাং। ২০১৬ সালে পাহাড়ি খাবার নিয়ে অনলাইনে যাত্রা শুরু করে হেবাং। এরপর ২০১৮ সালে মিরপুরের কাজীপাড়ায় রেস্টুরেন্ট খোলে। বর্তমানে হেবাংয়ের দুটি শাখা রয়েছে। একটি মিরপুরের কাজীপাড়ায়, অন্যটি মোহাম্মদপুরে। এখানে মূলত চাকমাদের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এখানকার খাবারের নামগুলোতে যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি খেতেও ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। ঢেকিছাঁটা চাল, তুলসী মালা চালের ভাত, ব্যাম্বু চিকেন, শুঁটকি হেবাং, পাজন ও কাঁকড়া ভুনা হেবাংয়ে নিয়মিত রান্না হয়। তবে শুক্রবার আর শনিবার মেন্যুতে আরো কয়েকটি বিশেষ খাবারের পদ যোগ করা হয়। তা ছাড়া হেবাংয়ে নানা রকম ভর্তাও পাওয়া যায়। মাছ, মাংস, সবজি, শুঁটকির ভর্তার সঙ্গে মেশানো হয় পাহাড়ি ঝাল মরিচ, যা খেতে দারুণ লাগে। এখানে আরো পাওয়া যায় বিন্নি চালের পায়েস, বড়াপিঠা, কলাপিঠা আর তেঁতুল চাও।
জাবা : ঢাকায় গারোদের খাবারের স্বাদ পেতে যেতে পারেন জাবায়। ২০১৯ সালে ফার্মগেটে যাত্রা শুরু করে জাবা। এই রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৫টির মতো খাবারের পদ রান্না হয়। মৌসুমভেদে এখানে নানা ধরনের খাবার রান্না করা হয়। এখানে কলাপাতায় ছোট মাছ, ফিশ উথেপা, চিকেন গপ্পা, হাঁস ব্যাম্বু শুট কষা, মাশরুম ভেজিটেবল ফ্রাই, চেপা শুঁটকি ভর্তা ও টাকি মাছের ভর্তা সঙ্গে রয়েছে বিন্নি চালের ভাত। গারোদের খাবারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই রান্নাগুলোতে খুব কম তেল-মসলার ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া পাহাড়ি খাবার পাবেন মিরপুরের কাজীপাড়ার সিএইচটি কালিনারি রেস্তোরাঁয় এবং সাবেরেং নামক একটি হোম কিচেনে, যেখান থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh