আবারো পিছিয়ে গেল মেয়েদের যুব বিশ্বকাপ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ফিফা ফুটবলের বড় কোনো প্রতিযোগিতা এখনো অনুষ্ঠিত করেনি। কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ পিছিয়ে গিয়েছে। 

দুইবার মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় ফুটবলারদের সময়সীমা পুননির্ধারণ করেছে ফিফা। চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ। 

বিশ্বজুড়ে করোনার তাণ্ডবে সেই টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফিফা। অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্ট আবারো পিছিয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রকোপের জন্য গত জুন মাসে ফিফা এই প্রতিযোগিতাকে অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভারতের করোনা পরিস্থিতি বেশ খারাপ এখনো। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত করতে চাইছে না ফিফা। 

যেহেতু বিশ্বকাপ পিছিয়ে গিয়েছে আর বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হওয়ায় ফুটবলারদের ছাড়পত্রের জন্য সময়সীমাও পুননির্ধারণ করেছে ফিফা। ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারির পরে ও ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে জন্ম তারিখ হতে হবে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ফুটবলারদের। তবে টুর্নামেন্টের নাম বদল হবে কিনা সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। মেয়েদের এই বিশ্বকাপ এমনিতে হওয়ার কথা ছিল এই বছরের ২ থেকে ২১ নভেম্বর। কিন্তু করোনা আতঙ্ক ছড়ানোর পরে তা বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খেলা তিন মাস পিছিয়ে গেলেও বয়সের মাপকাঠি একই রকম থাকবে।

বিশ্বকাপের সূচি জানিয়ে দিলেও ফিফা কিন্তু তাদের বিবৃতিতে লিখেছে, দিন ঠিক হয়ে গেলেও নিয়মিত নজরদারি চলবে। আসলে ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার মাথাব্যথার কারণ, এশিয়া ছাড়া বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলেরই যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের খেলা এখনো শেষ না হওয়াটা। সংগঠক দেশ হিসেবে ভারত ছাড়া এশিয়া থেকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান ও উত্তর কোরিয়া। 

বাকি মূলপর্বে আসার কথা আছে- আফ্রিকা, ইউরোপ, ওসেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্য ও উত্তর আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //