ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৯:০৬ পিএম
ডিয়াগো ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলা ছিলো বলে অভিযোগ করেছিলেন তার আইনজীবী। ম্যারাডোনার মৃত্যুর আগে চিকিৎসক-নার্সদের দায়িত্বে কোনো গাফিলতি ছিল কি না, সেটি নিয়ে তদন্তও করছেন এক কৌঁসুলি।
আর্জেন্টাইন দৈনিক টিওয়াইসি স্পোর্ত জানিয়েছে, নতুন খবর এসেছে ম্যারাডোনায় সেবায় নিযুক্ত নার্স দাহিয়ানা জিসেলা মাদ্রিদের কাছ থেকে। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যারাডোনার রুমে ঢুকে তাকে ঘুম পাড়িয়েছিলেন দাহিয়ানা। তিনি নিজেই বিবৃতিতে সেটা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন অন্য কথা, তিনি নাকি বুধবার দুপুরে ম্যারাডোনার ওষুধ খাওয়ার সময়েই প্রথম ম্যারাডোনার কক্ষে ঢুকেছেন। প্রথম দফায় তাকে মিথ্যা বিবৃতি দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও জানান দাহিয়ানা।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় ম্যারাডোনার আত্মীয় জনি এরেরা তাকে সর্বশেষ জীবিত দেখেছিলেন। কিন্তু পরে নার্স রিকার্দো জানান, তিনি বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় সর্বশেষ ম্যারাডোনাকে জীবিত দেখেছিলেন। বুয়েনস এইরেসের বেসরকারি ওই ক্লিনিকে সাড়ে ছয়টায় রিকার্দোর দায়িত্বের পালা শেষ হয়। কৌঁসুলির প্রশ্নের জবাবে রিকার্দো তখন বলেছিলেন, তিনি ম্যারাডোনাকে ‘বিছানায় ঘুমাতে দেখেছেন’, তখনো ম্যারাডোনা ‘ঘুমাচ্ছিলেন, স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিচ্ছিলেন’।
এরপর ম্যারাডোনাকে সর্বশেষ জীবিত দেখেছে কে, এ নাটকে আবার চমক। দাহিয়ানা দাবি করেন, সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি ঘরের বাইরে থেকে ম্যারাডোনাকে ঘরের ভেতরে পায়চারি করতে শুনেছেন। ম্যারাডোনা তখন প্রাকৃতিক কর্মসম্পাদন করতে বাথরুমে গেছেন, আওয়াজ শুনে সেটিও বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছিলে দাহিয়ানা। সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ম্যারাডোনাকে ঘুম পাড়িয়ে এসেছেন বলেও জানান। সে সময় তিনি ম্যারাডোনার রক্তচাপ, পালসসহ শরীরের স্বাভাবিকতার পরিমাপক বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করতে গেলে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি প্রথমে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আর্জেন্টাইন দৈনিক টিওয়াইসি স্পোর্ত জানাচ্ছে, দ্বিতীয় দফায় কৌঁসুলির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমবারে বলা কথাগুলোই আবার বলেছেন দাহিয়ানা। কিন্তু এবার তার কথায় বড় অমিল। যেমন বুধবার সকালে তিনি ম্যারাডোনার কক্ষে ঢোকেনইনি বলে জানিয়েছেন। আবার দুপুরবেলায় ম্যারাডোনার ওষুধ খাওয়ার সময়ের আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির কক্ষে ঢোকেননি বলে জানাচ্ছেন।
দাহিয়ানা কাজ করেন মেডিডম নামের একটি কোম্পানিতে, যারা ছিলো ম্যারাডোনার দেখভালের দায়িত্বে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মী দায়িত্বে অবহেলা করেননি, সেই ধারণা ছড়িয়ে দিতেই দাহিয়ানাকে দিয়ে প্রথমবারে এমন বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছিল মেডিডম।
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh