‘অনিশ্চয়তা’ নিয়েই ইন্টার শিবিরে ফিরলেন এরিকসেন

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ফিরেছেন ইন্টার মিলানের চেনা আঙিনায়। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো পা রাখেন ক্লাবের অনুশীলন ভেন্যুতে। 

কিন্তু ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের মাঠে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়ে গেছে।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে গত ১২ জুন ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিকদের ম্যাচের প্রথমার্ধে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। ছুটে যান দুই দলের খেলোয়াড়রা। মাঠেই শুরু হয় চিকিৎসা। দেয়া হয় সিপিআর। মাঠেই দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে।

এরপর তার শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রোনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে।

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কাটিয়ে এবার মাঠে ফেরার প্রাথমিক ধাপের অংশ হিসেবে এরিকসেন ক্লাবের অনুশীলন ভেন্যুতে যোগ দিয়েছেন বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে ইন্টার।

ক্লাবটি জানিয়েছে, ডেনিশ মিডফিল্ডার (এরিকসেন) ক্লাবের পরিচালক, কোচ, সতীর্থ ও উপস্থিত স্টাফদের সাথে দেখা করেছেন। এরিকসেন ভালো উন্নতি করছে এবং সে শারীরিক ও মানসিকভাবে চমৎকার অবস্থায় আছে। 

এরিকসেনের ফুটবল ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কেননা, গত জুলাইয়ে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সাইন্টিফিক কমিটির সদস্য ফ্রান্সেসকো ব্রাকোনারি জানিয়েছিলেন, এরিকসেনের শরীর থেকে ডেফিব্রিলেটর সরানো না হলে তাকে খেলার অনুমতি দেয়া হবে না।

ইতালিয়ান গণমাধ্যম গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত জানায়, এরিকসেন এখন বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়ে দেখবেন তার শরীর থেকে ডেফিব্রিলেটর সরানো সম্ভব কিনা। পরীক্ষার ফল আসতে পারে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে।

২০২০ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ইন্টারে যোগ দেন এরিকসেন। দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন আটটি। গত মৌসুমে ১১ বছর পর ইন্টার মিলানের সিরি আ জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //