দল হিসেবে না থাকলেও অন্য অনেকভাবেই কাতার বিশ্বকাপে থাকবে বাংলাদেশ। তার মধ্যে অন্যতম লাল সবুজের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হওয়া টি শার্টসহ অন্যান্য পোশাক। কাতারে ফিফা কর্মকর্তারা পড়বেন বাংলাদেশের তৈরি টি শার্ট।
এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ ইউরোপের আটটি দেশের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১২ লাখ জার্সি যায়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ থেকে জার্সি যায়। এবারের কাতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ থেকে জার্সি না যাওয়ায় কিছুটা হতাশা ছিল। গেছে ছয় লাখ ফিফার অফিশিয়াল টি-শার্ট। এসব টি-শার্টের দাম পড়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার মস্কোভিত্তিক ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস মাস্টার। তারাই বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য অর্ডার করে বানিয়ে নিয়েছে।
রাশান প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেড থেকে ওই ছয় লাখ টি-শার্ট নেয়। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে ফিফার অনুমোদনের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দুই চালানে টি-শার্টগুলো রপ্তানি করা হয়। ছয় লাখ টি-শার্টের রপ্তানি মূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা ধরে)।
জানা যায়, ফিফা কর্মকর্তা, রেফারি, বলবয় ও গ্যালারির অনেক দর্শকের পরনে থাকবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা এই টি-শার্ট।
এ বিষয়ে সনেট টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াছিন বলেন, ’২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে দেশটির বেশ কিছু জার্সি পাঠালেও এবার এটা দ্বিগুণ। ১০ বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করছে তাঁর প্রতিষ্ঠান’। তিনি জানান, সনেট টেক্সটাইল উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি করে থাকে। রাশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় স্পোটর্সওয়্যার, জ্যাকেট, অন্তর্বাস রপ্তানি করে থাকে। শুধু রাশিয়ার বাজারেই বছরে ৭০ হাজার পিস পোশাক রপ্তানি করে বলে তিনি জানান। এই ধারা গত এক দশক ধরে অব্যাহত রয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ বাংলাদেশ টি শার্ট পোশাক
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh