বিশ্বকাপের যত রেকর্ড

ব্যক্তিগত রেকর্ড

১. সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন: পেলে ৩ বার (ব্রাজিল, ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০)

২. সর্বোচ্চ গোল: ১৬টি, মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি, ২০০২-২০১৪)

৩. সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ খেলা: ৫ বার করে (আন্তোনিও কারবাহাল, মেক্সিকো, ১৯৫০-১৯৬৬), লোথার ম্যাথিউস (জার্মানি, ১৯৮২-১৯৯৮) ও রাফায়েল মারকুয়েজ,  মেক্সিকো, ২০০২-২০১৮)

৪. সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা: ২৫টি, লোথার ম্যাথিউস (জার্মানি, ১৯৮২-১৯৯৮)

৫. সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে খেলা: ২২১৭ মিনিট, পাওলো মালদিনি (ইতালি, ১৯৯০-২০০২)

৬. নক আউট পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা: ১৪টি, মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি, ২০০২-২০১৪)

৭. সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়: ১৭টি, মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি, ২০০২-২০১৪)

৮. সবচেয়ে বেশি বার ফাইনাল খেলা: ৩ বার, কাফু (ব্রাজিল, ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২)

৯. অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলা: ৫ বার, রাফায়েল মার্কেজ,  মেক্সিকো, ২০০২-২০১৮)

১০. অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা: ১৭টি, রাফায়েল মার্কেজ,  মেক্সিকো, ২০০২-২০১৮)

১১. বদলি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা: ১১টি, ডেনিলসন (ব্রাজিল, ১৯৯৮-২০০২)

১২. সবচেয়ে কম বয়সে বিশ^কাপ ম্যাচ খেলা: নরম্যান হোয়াইটসাইড, ১৭ বছর ৪১ দিন (উত্তর আয়ারল্যান্ড, যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে, ১৮২ সালের ১৭ জুন)

১৩. সবচেয়ে কম বয়সে বিশ^কাপ ফাইনাল খেলা: পেলে, ১৭ বছর ২৪৯ দিন (ব্রাজিল, সুইডেনের বিপক্ষে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন)

১৪. সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ খেলা: টনি মেয়োলা, ২১ বছর ১০৯ দিন (যুক্তরাষ্ট্র, চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে, ১৯৯০ সালের ১০ জুন)

১৫. সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া: এডু, ১৬ বছর ৩৩৯ দিন (ব্রাজিল, ১৯৬৬ বিশ^কাপে। তার পুরো নাম হোনাস এডুয়ার্ডো আমেরিকো। তবে সংক্ষেপে এডু নামেই পরিচিত)

১৬. সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া: এসাম এল হাদারি, ৪৫ বছর ১৫০ দিন (মিশর, ২০১৮)

১৭. সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে অভিষেক: এসাম এল হাদারি, ৪৫ বছর ১৬১ দিন (মিশর, সৌদি আরবের বিপক্ষে, ২০১৮ সালের ২৫ জুন)

১৮. সবচেয়ে বেশি বয়সী অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ খেলা: এসাম এল হাদারি, ৪৫ বছর ১৬১ দিন (মিশর, সৌদি আরবের বিপক্ষে, ২০১৮ সালের ২৫ জুন)

১৯. এক আসরে সর্বোচ্চ গোল: ১৩টি, জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ)

২০. এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল: ৫টি, ওলেগ সালেঙ্কো (রাশিয়া, ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে)

২১. হারা ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল: ৪টি, আরনেস্ত ইউলিমোভস্কি (পোল্যান্ড, ব্রাজিলের বিপক্ষে ১৯৩৮ বিশ্বকাপে)

২২. বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল: সমান ৩টি করে ৪ জনে। ভাভা (ব্রাজিল), পেলে (ব্রাজিল), জিওফ হার্স্ট (ইংল্যান্ড) ও জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স)

২৩. বিশ্বকাপের এক ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল: ৩টি, জিওফ হার্স্ট (ইংল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে)

২৪. বিশ্বকাপ ফাইনালে একমাত্র হ্যাটট্রিক: জিওফ হার্স্ট (ইংল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে)

২৫. সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অন্তত একটি করে গোল করেছেন: ১১ ম্যাচে, রোনাল্ডো (ব্রাজিল, ১৯৯৮-২০০৬) ও মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি, ২০০২-২০১৪)

২৬. টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অন্তত একটি করে গোল করেছেন: ৬ ম্যাচে, জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স, ১৯৫৮ বিশ্বকাপে)

২৭. সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক: ২টি করে ৪ জনে। সান্দর ককসিস (হাঙ্গেরি, ১৯৫৪ বিশ্বকাপ), জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ), জার্ড মুলার (পশ্চিম জার্মানি, ১৯৭০ বিশ্বকাপ) ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (আর্জেন্টিনা, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপে)। মানে একমাত্র বাতিস্তুতা দুটি হ্যাটট্রিক করেছেন দুটি বিশ্বকাপে। বাকি ৩ জনই একটি করে আসরে দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন

২৮. টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক: সান্দর ককসিস (হাঙ্গেরি, ১৯৫৪) ও জার্ড মুলার (পশ্চিম জার্মানি, ১৯৭০)

২৯. দ্রুততম হ্যাটট্রিক: মাত্র ৮ মিনিটে, লাসজিও কিস (হাঙ্গেরি, ১৯৮২ বিশ্বকাপে এল সালভাদরের বিপক্ষে ম্যাচের ৬৯, ৭২ ও ৭৬ মিনিটে গোল ৩টি করেন তিনি)

৩০. বদলি হিসেবে নেমে একমাত্র হ্যাটট্রিক: লাসজিও কিস (হাঙ্গেরি, ১৯৮২ বিশ্বকাপে এল সালভাদরের বিপক্ষে) 

৩১. বদলি হিসেবে নেমে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল: ৩টি, লাসজিও কিস (হাঙ্গেরি, ১৯৮২ বিশ্বকাপে এল সালভাদরের বিপক্ষে)

৩২. অলিম্পিক গোল (কর্নার থেকে সরাসরি গোল): ১টি, মার্কোস কোল (কলম্বিয়া, ১৯৬২ বিশ্বকাপে তৎকালীন সোভিয়েন ইউনিয়নের বিপক্ষে)

৩৩. বিশ্বকাপে প্রথম গোলদাতা: লুসিয়েন্ত লরাঁ (ফ্রান্স, ১৯৩০ সালের ১৩ জুলাই, মেক্সিকোর বিপক্ষে)

৩৪. ১০০তম গোলদাতা: এডমুন্ড কোনেন (জার্মানি, ১৯৩৪ সালের ২৭ মে, বেলজিয়ামের বিপক্ষে)

৩৫. ১০০০তম গোলদাতা: রব রেনসেনব্রিঙ্ক ( নেদারল্যান্ডস, ১৯৭৮ সালের ১১ জুন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে)

৩৬. ২০০০তম গোলদাতা: মার্কাস অলব্যাক (সুইডেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)

৩৭. সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা: ১৭ বছর ২৩৯ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮ সালের ১৯ জুন, ওয়েলসের বিপক্ষে)

৩৮. সবচেয়ে কম বয়সে হ্যাটট্রিক: ১৭ বছর ২৪৪ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮ সালের ২৪ জুন, ফ্রান্সের বিপক্ষে)

৩৯. ফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা: ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন, সুইডেনের বিপক্ষে)

৪০. কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ব্রোঞ্জের জুতো জয়ী: ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। পেলে অবশ্য যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। জার্মানির হেলমুট রনের সমান ৬টি গোল গোল করেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য পুরস্কারের নাম ‘ব্রোঞ্জ শু বা বুট’ ছিল না। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারের সঙ্গে প্রথম রানারআপ, দ্বিতীয় রানারআপ গোলদাতা হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হতো।)

৪১. সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলদাতা: ৪২ বছর ৩৯ দিন বয়সে, রজার মিলা (ক্যামেরুন, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন, রাশিয়ার বিপক্ষে)

৪২. সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে অভিষেক গোল: ৩৮ বছর ১৯ দিন বয়সে, রজার মিলা (ক্যামেরুন, ১৯৯০ বিশ্বকাপে, রোমানিয়ার বিপক্ষে)

৪৩. সবচেয়ে বেশি বয়সে ব্রোঞ্জের জুতো জয়ী: ৩৮ বছর ৪৯ দিন বয়সে, রজার মিলা (ক্যামেরুন, ১৯৯০ বিশ্বকাপে)

৪৪. টিনেজে, ২০-এর ঘরে এবং ৩০-এর ঘরে দাঁড়িয়ে একমাত্র গোলদাতা: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা, ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে)

৪৫. টাইব্রেকসহ পেনাল্টি থেকে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৪টি করে মোট ৩ জনে। এর মধ্যে ইউসেবিও (পর্তুগাল) ও  রব রেনসেনব্রিঙ্ক ( নেদারল্যান্ডস) একটি করে আসরে ৪টি করে গোল করেছেন। ইউসেবিও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে এবং রব রেনসেনব্রিঙ্ক ১৯৭৮ বিশ্বকাপে। অন্যজন আর্জেন্টিনার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। তিনি ১৯৯৪ ও ১৯৯৮, দুই আসরে পেনাল্টি থেকে দুটি করে গোল করেছেন

৪৬. ফাইনালে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচজয়ী গোলদাতা: মারিও গোটশে (জার্মানি, ২০১৪ বিশ্বকাপে, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে)

৪৭. বিশ্বকাপের দ্রুততম গোলদাতা: ম্যাচ শুরুর ১১ সেকেন্ডে, হাকান শুকুর  (তুরস্ক, ২০০২ বিশ্বকাপে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে)

৪৮. বদলি হিসেবে নেমে দ্রুততম গোলদাতা: মাঠে নামার ১৬ সেকেন্ডের মাথায়, এবে সান্ড (ডেনমার্ক, ১৯৯৮বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে)

৪৯. ফাইনালের দ্রুততম গোলদাতা: ৯০ সেকেন্ডে, জোহান নেসকেন্স (নেদারল্যান্ডস, ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে, পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে)

৫০. দ্রুততম সময়ে জোড়া গোলদাতা: ৬৯ সেকেন্ডের ব্যবধানে, টনি ক্রুস (জার্মানি, ২০১৪ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। ম্যাচের ২৪ ও ২৬ মিনিটের ঘরে গোল দুটো করেন তিনি)

৫১. নিয়মিত সময়ের সর্বশেষ গোলদাতা : ম্যাচের ৯৭ মিনিটে, নেইমার (ব্রাজিল, ২০১৮ বিশ্বকাপে, কোস্টারিকার বিপক্ষে)

৫২. সবচেয়ে বেশি আসরে অন্তত একটি করে গোল: ৪ আসরে মোট ৪ জন, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮-১০৭০), উভি সেলার (পশ্চিম জার্মানি, ১৯৫৮-১৯৭০), মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি, ২০০২-২০১৪) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল, ২০০৬-২০২৮)

৫৩. সবচেয়ে বেশি গোল অ্যাসিস্ট: ১০টি, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮-১৯৭০)

৫৪. এক আসরে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট: ৬টি, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৭০ বিশ্বকাপে)

৫৫. ফাইনালে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট: ৩টি, পেলে (ব্রাজিল, ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১টি, ১৯৭০-এ ২টি)

৫৬. সবচেয়ে বেশি আসরে অন্তত একটি করে অ্যাসিস্ট: ৪ আসরে, লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা, ২০০৬-২০১৮)

৫৭. টানা সবচেয়ে বেশি আসরে অন্তত একটি করে অ্যাসিস্ট: ৪ আসরে, লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা, ২০০৬-২০১৮)

দলীয় রেকর্ড

১.  সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপে খেলা: ব্রাজিল, এবার নিয়ে বিশ্বকাপের ২২ আসরেই প্রতিনিধিত্ব করছে। বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে খেলা একমাত্র দল তারাই

২. সবচেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন: ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে)

৩. সবচেয়ে বেশিবার ফাইনালে খেলা: জার্মানি, ৮ বার

৪. সবচেয়ে বেশি বার সেমিফাইনালে খেলা: জার্মানি, ১৩ বার

৫. সবচেয়ে বেশি বার শীর্ষ ৮-এ থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা: ব্রাজিল, ১৮ বার। আগের ২১ আসরে মাত্র ৩ বার শীর্ষ ৮-এ থাকতে পারেনি ব্রাজিল

৬. সবচেয়ে বেশিবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা: ব্রাজিল, ১৫ আসরে

৭. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা: ব্রাজিল ও জার্মানি, ১০৯ ম্যাচ

৮. সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়: ব্রাজিল, ৭৩ ম্যাচে 

৯. বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলা: ইন্দোনেশিয়া, ১টি

১০. দল হিসেবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল: ব্রাজিল, ২২৯টি

১১. দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়: ব্রাজিল, ৮০ জন

১২. দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছে: জার্মানি, ১২৫টি

১৩. সবচেয়ে কম গোল করা দল: কানাডা, চীন, ইন্দোনেশিা, ০টি করে

১৪. সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে: অ্যাঙ্গোলা, ২টি

১৫. দল হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি: সর্বোচ্চ ৭ করে, ব্রাজিল-সুইডেন, জার্মানি-যুগোস্লাভিয়া/সার্বিয়া ও জার্মানি-আর্জেন্টিনা

১৬. ফাইনালে সবচেয়ে বেশিবার মুখোমুখি: জার্মানি-আর্জেন্টিনা, ৩ বার (১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪)

১৭. টানা সবচেয়ে বেশি বার ফাইনালে মুখোমুখি: জার্মানি-আর্জেন্টিনা, ২ বার (১৯৮৬ ও ১৯৯০)

১৮. টানা সবচেয়ে বেশি আসরে মুখোমুখি: আর্জেন্টিনা-ইতালি, ৫ বার (১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০)।

১৯. নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি জয়: জার্মানি, ৩৫ ম্যাচে

২০. নকআউটপর্বে সবচেয়ে বেশি হার: জার্মানি, ১৪ ম্যাচে

২১. সবচেয়ে আসরে অপরাজিত থাকা দল: ব্রাজিল, ৭ বার (এর মধ্যে ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২, এই ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাকি দুবারের মধ্যে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না হেরেও তৃতীয় হয় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার মাটির ওই আসরে মূলত শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ছিল না। প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে রবিন লিগ ভিত্তিতে দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি ফাইনালে উঠে যায়। দুই গ্রুপের দুই রানার্সআপ দল মুখোমুখি হয় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। তাতে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয় ব্রাজিল। এছাড়া ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচকে মূলত ড্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, ব্রাজিল যে দুবার অপরাজিত থেকেও শিরোপা পায়নি, ওই দুবারেই বিশ্বকাপে জিতেছে তাদের চিরশত্রু আর্জেন্টিনা

২২. কোনো ম্যাচ না হেরেও সবচেয়ে বেশি বার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া: ইংল্যান্ড, ৩ বার (১৯৮২, ১৯৯০ ও ২০০৬)

২৩. এক আসরে সবচেয়ে বেশি জয়: ব্রাজিল, ৭ ম্যাচে (২০০২ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে সব কটিতেই জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল)

২৪. সবচেয়ে কম ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন: উরুগুয়ে, ৩ ম্যাচে (১৯৫০ বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচের ৩টিতে জিতে দ্বিতীয় বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় তারা

২৫. চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিততে না পারা: ইতালি, ৩ ম্যাচে (১৯৮২ বিশ^কাপে, ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টিতে জয় পায় তারা)

২৬. শিরোপা না জেতা দল হিসেবে এক আসরে সবচেয়ে বেশি জয়: নেদারল্যান্ডস, ৬ ম্যাচে (২০১০ বিশ^কাপে)

২৭. এক আসরে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোল: হাঙ্গেরি, ২৭টি (১৯৫৪ বিশ্বকাপে)

২৮. এক আসরে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোল হজম: দক্ষিণ কোরিয়া, ১৬টি (১৯৫৪ বিশ্বকাপে)

২৯. এক আসরে দল হিসেবে সবচেয়ে কম গোল হজম: সুইজারল্যান্ড, ০টি (২০০৬ বিশ্বকাপে)

৩০. এক আসরে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোল করে চ্যাম্পিয়ন: জার্মানি, ২৫টি (১৯৫৪)

৩১. কম গোল করে চ্যাম্পিয়ন: স্পেন, ৮টি (২০১০ বিশ্বকাপে)

৩২. চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সবচেয়ে কম গোল হজম: ২টি করে, ফ্রান্স (১৯৯৮) ও স্পেন (২০১০)

৩৩. এক আসরে সবচেয়ে বেশি অপরাজিত দল: ২০০৬ বিশ্বকাপে, ৫টি দল (সুইজারল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালি)

৩৪. এক আসরে সবচেয়ে কম অপরাজিত দল: ১৯৫৪ বিশ্বকাপে ০টি

৩৫. শিরোপার পথে টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই জয়: মোট ৪টি আসরে। ১৯৩০ বিশ্বকাপে উরুগুয়ে ৪ ম্যাচের ৪টিতেই জয়ী হয়। ব্রাজিল এই কীর্তি গড়েছে দুবার। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচের ৬টিতেই জয়ী ব্রাজিল ২০০২ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের ৭টিতেই জয় পায়। এছাড়া ১৯৩৮ বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচের ৪টিতেই জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি

৩৬. ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে  বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটন: ২০১০ বিশ্বকাপে ৯ম র‌্যাংকধারী ফ্রান্সের বিপক্ষে ৮৩তম র‌্যাংকধারী দক্ষিণ আফ্রিকার ২-১ গোলের জয়

৩৭. এক আসরে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক: ১৯৫৪ বিশ্বকাপে, ৮টি

৩৮. এক আসরে সবচেয়ে কম হ্যাটট্রিক: ২০০৬ বিশ্বকাপে, ০টি

৩৯. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা জয়: ব্রাজিল, ১১ ম্যাচ। ২০০২ বিশ্বকাপে তুরস্কের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় থেকে ২০০৬ বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়

৪০. টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত: ব্রাজিল, ১৩ ম্যাচে

৪১. সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি প্রাপ্ত দল: স্পেন, ১৮টি

৪২. পেনাল্টি থেকে সবচেয়ে বেশি গোল: স্পেন, ১৫টি

৪৩. সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি মিস: ব্রাজিল, ৪টি

৪৪. এক আসরে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি: ২৯টি, ২০১৮ বিশ্বকাপ

৪৫. এক আসরে পেনাল্টি থেকে সবচেয়ে বেশি গোল: ২২টি, ২০১৮

৪৬. এক আসরে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি মিস: ৭টি, ২০১৮

৪৭. সবচেয়ে বেশি বার টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছে: আর্জেন্টিনা, ৫ বার (১৯৯০ আসরে ২ বার, ১৯৯৮, ২০০৬ ও ২০১৪ আসরে এক বার করে)

৪৮. এক আসরে সবচেয়ে বেশি বার টাইব্রেকারে মুখোমুখি: ২ বার করে (১৯৯০-তে আর্জেন্টিনা, ২০০২-তে স্পেন, ২০১৪-তে কোস্টারিকা ও নেদারল্যান্ডস, ২০১৮-তে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া)

৪৯. টাইব্রেকারে সবচেয়ে বেশি বার জয়ী দল: ৪ বার করে, জার্মানি ও আর্জেন্টিনা (জার্মানি ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০০৬, আর্জেন্টিনা ১৯৯০, ১৯৯০, ১৯৯৮ ও ২০১৪)

৫০. এক আসরে সবচেয়ে বেশি বার টাইব্রেকারে জয়: ২ বার করে (আর্জেন্টিনা ১৯৯০-তে, ক্রোয়েশিয়া ২০১৮-তে)

৫১. টাইব্রেকারে সবচেয়ে বেশি বার হার: ৩ বার করে (ইংল্যান্ড-১৯৯০, ১৯৯৮ ও ২০০৬, ইতালি-১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও স্পেন-১৯৮৬, ২০০২ ও ২০১৮)

৫২. টাইব্রেকারে সবচেয়ে বেশি বার একে অন্যের মুখোমুখি : ২ বার, ফ্রান্স বনাম ইতালি (১৯৯৮ ও ২০০৬)

৫৩. এক আসরে সবচেয়ে বেশি টাইব্রেকার : ৪ বার করে (১৯৯০, ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ আসরে)

৫৪. এক আসরে সবচেয়ে কম টাইব্রেকার : ১৯৭৮ বিশ্বকাপে, একটিও নয়। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ থেকেই এই টাইব্রেকার পদ্ধতির যাত্রা শুরু

রেফারিং রেকর্ড

১. সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা: রভশান ইরমাতোভ, ১১ ম্যাচ (উজবেকিস্তান, ২০১০-২০১৮)

২. এক আসরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা: ৫টি করে ম্যাচ, ৪ জনে। বেনিতো আরচুনদিয়া (মেক্সিকো, ২০০৬), হোরাসিও এলিজোন্ডো (আর্জেন্টিনা, ২০০৬), রভশান ইরমাতোভ (উজবেকিস্তান, ২০১০) ও নেস্তর পিতানা (আর্জেন্টিনা, ২০১৮)

৩. সবচেয়ে কম বয়সী রেফারি: হুয়ান গার্দেয়াজাবাল, ২৪ বছর ১৯৩ দিন (স্পেন, ১৯৫৮ বিশ্বকাপে)

৪. সবচেয়ে বেশি বয়সী রেফারি: জর্জ রিডার, ৫৩ বছর ২৩৬ দিন (ইংল্যান্ড, ১৯৫০  বিশ্বকাপ)

শৃঙ্খলাজনিত রেকর্ড

১. সবচেয়ে দ্রুততম হলুদকার্ড: ম্যাচের ১১ সেকেন্ডে, জেসুস গালার্দো (মেক্সিকো, ২০১৮-তে সুইডেনের বিপক্ষে)

২. সবচেয়ে দ্রুততম লালকার্ড: ৫৬ সেকেন্ডে, হোসে বাতিস্তা (উরুগুয়ে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে)

৩. সবচেয়ে দেরিতে হলুদকার্ড: টাইব্রেকার চলাকালে। এডিনহো (ব্রাজিল, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে) ও কার্লোস রোয়া (আর্জেন্টিনা, ১৯৯৮ বিশ^কাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)

৪. সবচেয়ে দেরিতে লালকার্ড: টাইব্রেকারের পর। লিয়ান্দ্রো কুফ্রে (আর্জেন্টিনা, ২০০৬ বিশ্বকাপে, জার্মানির বিপক্ষে)। টাইব্রেকারে হারের হতাশা থেকেই কি না ম্যাচ চলাকালের সংঘর্ষের জের হিসেবে টাইব্রেকারের পর উল্লাসরত জার্মানি পার মারটেসাকারকে লাথি মারেন লিয়ান্দ্রো কুফ্রে

৫. রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থেকে লালকার্ড: ক্লদিও ক্যানিজিয়া (আর্জেন্টিনা, ২০০২-তে সুইডেনের বিপক্ষে)

৬. সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড: হাভিয়ের মাচেরানো, ৭টি (আর্জেন্টিনা, ২০০৬-২০১৮)

৭. সবচেয়ে বেশি কার্ড প্রাপ্তি: হাভিয়ের মাচেরানো, ৭টি (আর্জেন্টিনা, ২০০৬-২০১৮)। মানে তিনি ৭ বার সতর্কতার হলুদকার্ড পেলেও একবারও লালকার্ড পাননি

৮. সবচেয়ে বেশি লালকার্ড : ২ বার করে দুজনে । রিগোবার্ট সং (ক্যামেরুন, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপে) ও জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স, ১৯৯৮ ও ২০০৬  বিশ্বকাপে)

৯. এক আসরে সবচেয়ে বেশি লালকার্ড : ২৮টি, ২০০৬ বিশ্বকাপের ৬৪ ম্যাচে

১০. এক আসরে সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড: ৩৪৫টি, ২০০৬ আসরে

১১. একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি লালকার্ড: ব্রাজিল, ১১টি

১২. দুই দল মিলিয়ে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি লালকার্ড: ৪টি, ২০০৬ আসরে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডসের দুজন করে। ধাক্কাধাক্কি, মারামারি, রক্তারক্তির কারণে যে ম্যাচটা ইতিহাসের পাতায় ‘নুরেমবার্গ যুদ্ধ’ হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে

১৩. এক ফাইনালে সবচেয়ে বেশি লালকার্ড: ২টি, ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে। লালকার্ড পাওয়া পেদ্রো মনজন ও গুস্তাভো ডেজোত্তি, দুজনই আর্জেন্টিনার

১৪. দল হিসেবে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড প্রাপ্ত দল : আর্জেন্টিনা, ৮৮টি

১৫. এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড: ১৬টি, ২০০৬ সালের ২৫ জুন, ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার সেই কুখ্যাত ‘নুরেমবার্গ যুদ্ধে’র ম্যাচে। 

১৬. এক ম্যাচে এক দলের খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড প্রাপ্তি: ৯টি করে। এই কুকীর্তিটাও পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডসের দখলে। তবে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯টি হলুদকার্ড পান পর্তুগালের খেলোয়াড়েরা। পরে নেদারল্যান্ডস সেই কুকীর্তিটাতে ভাগ বসিয়েছেন ওই আসরেই স্পেনের বিপক্ষে ফাইনালে

১৭. এক ম্যাচে এক খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড প্রাপ্তি: ইয়োসিপ সিমুনিচ, ৩টি (ক্রোয়েশিয়া, ২০০৬ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)। রেফারি ছিলেন ইংল্যান্ডের গ্রাহাম পোল

১৮. ফাইনালে সবচেয়ে বেশি হলুদকার্ড: ১৪টি, ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ফাইনালে

১৯. এক আসরে সবচেয়ে বেশি বার নিষিদ্ধ হন: ২ বার, আন্দ্রে কানা বিয়িক (ক্যামেরুন, ১৯৯০ বিশ্বকাপে)

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //