বাবা-ছেলের বিশ্বকাপ খেলার বিরল ঘটনা

বিশ্বকাপে খেলা যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য স্বপ্ন থেকে আরো বেশিকিছু হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। খেলাটিতে পারিবারিক সম্পর্কের যোগসূত্র অনেক আগেই পাওয়া গেছে। একই পরিবারের অনেককেই দেখা গেছে একই আসরে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে খেলতে। দুই ভাই খেলার ঘটনা বেশকিছু ঘটেছে। এমনকি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়েও দুই ভাই পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনারও সাক্ষী হয়েছে বিশ্বসেরা এই আসর। আবার এই বিশ্বকাপেই বাবার পর ছেলে খেলে গেছেন। বিশ্বকাপে বাবা ও ছেলের পদচারণা নেহায়েত কম নয়। এমন সব খ্যাতনামা বাবা ও ছেলেকে নিয়ে দারুণ এই আয়োজন

সিজার মালদিনি ও পাওলো মালদিনি (ইতালি)

ভারে সবচেয়ে বড় দুটি নাম সিজার মালদিনি ও পাওলো মালদিনি। অনেক কারণেই সবচেয়ে বিখ্যাত বাবা-ছেলে জুটি। একসাথে বাবা কোচ, ছেলে অধিনায়ক; এমন লম্বা একটা সময় দেখেছে ইতালি জাতীয় দল ও বিশ্ব ফুটবল। বাবা-ছেলে দুই মালদিনিই মূলত এসি মিলানের কিংবদন্তী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সিজার মিলানের হয়ে ৩৪৭ ম্যাচ খেলার পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপও খেলেছেন এই সিনিয়ির। অবসরের পর এসি মিলান থেকে শুরু করে ইতালি জাতীয় দলকে কোচিংও করিয়েছেন। বাবার হাত ধরেই ফুটবলে আসা পাওলো মালদিনি হয়ে উঠেছিলেন ইতালি ও এসি মিলানের নির্ভরতার প্রতীক। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার মিলানের হয়ে ৬৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ইতালির জার্সি গায়ে খেলেছেন ১২৬টি ম্যাচ। পাওলো মালদিনি চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন, ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ সালে। বিশ্বকাপে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ক্লাবের মতো সমানতালে।

হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ গুতিয়েরেজ ও হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ (মেক্সিকো)

তারা দুজন তাদের নামেই পরিচিত ফুটবল দুনিয়ায়। মেক্সিকো বিশ্ব ফুটবলে বড় নাম না হলেও দুই হার্নান্ডেজের কারণে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। বাবা-ছেলে দুজনেরই নামই অবশ্য হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ। আর ডাকনামে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, কে কার ছেলে। সিনিয়র হার্নান্দেজের ডাক নাম চিচারো এবং জুনিয়র হার্নান্দেজের ডাক নাম চিচারিতো। পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় চিচারোর ছেলে। চিচারো ছিলেন মাঝ মাঠের কাণ্ডারি, মিডফিল্ডার। ইউরোপের কোনো ক্লাবে কখনো খেলা না হলেও নিজের দেশের সেরা ফুটবলারদের একজন ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে খেলেছেন হ্যাভিয়ের হার্নান্দেজ সিনিয়র। যার মধ্যে ছিলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের দলেও। কিন্তু এই বিশ্বকাপেই মেক্সিকোকে নিষিদ্ধ করে দেয় ফিফা। কারণ, তারা অনূর্ধ্ব-২০ দলে বেশি বয়সী একাধিক খেলোয়াড় খেলিয়েছে। বাবার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলা না হলেও সেই আফসোস পাকাপাকিভাবে দূর করেছেন ছেলে। একে একে টানা তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন এবারেরটি নিয়ে। বাবার চেয়ে ছেলের ক্যারিয়ার অনেকটাই সমৃদ্ধ। ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো দলের হয়েও খেলে নিজের ক্যারিয়ারকে ঋদ্ধ করেছেন।

পিটার স্মাইকেল ও ক্যাসপার স্মাইকেল (ডেনমার্ক)

ডেনমার্কের ফুটবলে বড় দুটি নাম পিটার স্মাইকেল ও ক্যাসপার স্মাইকেল। যার মধ্যে ক্যাসপার স্মাইকেল হলেন বিখ্যাত বাবার আরেক বিখ্যাত সন্তান। বাবা পিটার স্মাইকেল তার সময়ের বিশ্বসেরা গোলরক্ষকদের একজন ছিলেন তিনি। ১৯৯২ ও ১৯৯৩ সালে টানা দুই বছর বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন পিটার। পারফরম্যান্সের কারণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একজন কিংবদন্তী মনে করা যায় তাকে। দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, জিতেছেন ট্রেবলও; সর্বমোট পাঁচটি লিগ শিরোপা জিতেছেন। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন অবশ্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ম্যানচেস্টার সিটিতে। ডেনমার্ক জাতীয় দলের হয়ে ১২৯টি ম্যাচ খেলেছেন পিটার। এর মধ্যে ১৯৯২ সালে ইউরো জিতে নিজেকে অনন্য এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন। এরপরই খেলেছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ। ছেলে ক্যাসপার এখনও অতটা বিখ্যাত হয়ে ওঠতে পারেননি। যদিও ম্যানচেস্টার সিটিতে ক্যারিয়ার শুরু করে ভাল কিছুর অপেক্ষায় রয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ধারে খেলার পর এখন লিস্টার সিটিতে রয়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে ৩৮টি ম্যাচ খেলে রয়েছেন এবারের বিশ্বকাপের দলেও।

মাজিনো (ব্রাজিল) ও থিয়াগো আলকান্তারা (স্পেন)

বাবা-ছেলের বিশ্বকাপে ব্যতিক্রম মাজিনো ও থিয়াগো আলকান্তারা। প্রথমজন ব্রাজিলের হয়ে খেললেও দ্বিতীয়জন খেলেছেন স্পেনের হয়ে। মাজিনোকে নাম শুনে অনেকে হয়তো মনে করতে পারবেন না তার পেছনের গল্পটা। তবে একটা ছবি নিশ্চয়ই সবার মনে থাকার কথা। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে বাচ্চা কোলে দোলানোর ভঙ্গিতে একটা গোল উদযাপন করেছিলো ব্রাজিল। সেই ছবির তিনজন হলেন বেবেতো, রোমারিও এবং এই মাজিনো। প্রথম দুই জনের মতো মাজিনো তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না। তার পুরো নাম ইয়োমার দো নাসিমেন্তো। ব্রাজিলের হয়ে ৩৫টি ম্যাচ খেললেও খুব বড় করে বলার মতো ক্যারিয়ার নয় তার। তবে এর মধ্যে ১৯৯৪ বিশ্বকাপটা খেলে ফেলায় একটা বড় রেকর্ড হয়ে গেছে। চৌদ্দবছর পর ২০১৮ সালে এসে তারই ছিলে থিয়াগো আলকান্তারাও খেললেন বিশ্বকাপ। কিন্তু গোলটা লাগলো অবশ্য অন্য জায়গায়। আলকান্তারা বাবার দেশের হয়ে নয়, বেছে নিলেন নতুন দেশ স্পেনকে। আলকান্তারা একজন বহুজাতিক মানের মানুষ। তার বাবা-মা ব্রাজিলিয়ান হলেও তার জন্ম হয়েছে ইতালিতে। বড় হয়ে উঠেছেন স্পেনের বার্সেলোনা শহরে। বার্সার হয়েই নিজেকে সঠিকভাবে চিনিয়েছেন। এখন খেলছেন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে, জাতীয় দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ৩১টা ম্যাচ।

পাবলো ফোরলান ও দিয়েগো ফোরলান (উরুগুয়ে)

উরুগুয়ের হয়ে খেললেও দিয়েগো ফোরলান বাবা পাবলো ফোরলানের চেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয়। যার মধ্যে কমপক্ষে দুটি করে বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র বাবা ছেলে জুটি এই পাবলো ও দিয়েগো ফোরলান। বাবা পাবলো ফোরলান সে সময় উরুগুয়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। এই ডিফেন্ডার উরুগুয়ের হয়ে ১৯৬৬ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপের আসরে খেলেছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে সারাটা জীবন লাতিন আমেরিকাতেই কাটিয়ে দিয়েছেন। বাবার সাথে তুলনা করলে ছেলে দিয়েগো ফোরলানের ক্যারিয়ার অনেক বর্ণময়। আর্জেন্টিনা থেকে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এরপর ইউরোপে পা রেখেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলা অবস্থায়ই মূলত বৈশ্বিক তারকা হয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচে ৩৬ গোল করার জন্য উরুগুয়ের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন এই সেটপিস বিশেষজ্ঞ। নিজের জাত চেনানো বিশ্বকাপগুলো হলো, ২০০২, ২০১০ ও ২০১৪।

মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল অলোনসো ও জাবি অলোনসো (স্পেন)

মিলের মতো অমিলও রয়েছে এই দুজনের। বাবা-ছেলের সবচেয়ে বড় অমিল হলো, বাবা মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল অলোনসো ছিলেন বার্সেলোনায়, অন্যদিকে ছেলে জাবি হয়ে উঠেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম ভরসার প্রতীক হিসেবে! নিজের সময়ে মিগুয়েল স্পেনের জার্সিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন। এছাড়া খেলেছেন বেশিরভাগ সময় রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে। এছাড়া তিন বছর বার্সেলোনাতেও খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ২০টি ম্যাচ খেলার মধ্যে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপও খেলে ফেলেন তিনি। খেলা ছেড়ে কোচিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন অনেকদিন হলো। ছেলে জাবি খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন বাবারই ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদে। এরপর লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখে ক্যারিয়ারের দারুণ করতে উজ্জ্বল সময়টা কাটিয়েছেন। স্পেনের হয়ে ১১৪টি ম্যাচ খেলে প্রমাণও করেছেন। এর মধ্যে ২টি ইউরো ও একটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে বাবার দেখানো পথে বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ সালে।

ড্যানি ব্লাইন্ড ও ডেলে ব্লাইন্ড (নেদারল্যান্ডস)

এখানে আবার বাবা ও ছেলের একই ধারা আদর্শ নিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দলে খেলেছেন। বাবা ড্যানি ব্লাইন্ড ছিলেন আয়াক্সের লিজেন্ডারি হিসেবে। আয়াক্সের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন পুরো এক দশক; ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন এই সময়ে। অবসরের পর আয়াক্স এবং নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলকে কোচিং করিয়ে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন। ছেলে ডেলে ব্লাইন্ড বাবার হাত ধরেই ফুটবল খেলায় এসেছেন। বাবার ক্লাব আয়াক্সের হয়েই খেলার শুরু। এরপর খেলেছেন ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। বাবা ড্যানি যখন নেদারল্যান্ডসের কোচ ছিলেন, তখনই তার জাতীয় দলে অভিষেক। ড্যানি ১৯৯০ ও ১৯৯৪ বিশ্বকাপ খেলার পর তার ডেলে ব্লাইন্ড খেলেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ।

মিগুয়েল রেইনা ও পেপে রেইনা (স্পেন)

নামের ভারে দুজন পরিচিত থাকলেও ততটা সফল নন পিতা-পুত্রের বিশ্বকাপ খেলা এই গোলরক্ষক। বাবা-ছেলে দুজনেই স্পেনের গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছেন। তবে কেউই সেই অর্থে দলের প্রথম ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। বারবার দুর্ভাগ্য দুজনকেই সমানে তাড়া করেছে। সবসময় বেঞ্চ গরম করতে হয়েছে জাতীয় দলে। বাবা মিগুয়েল রেইনা করডোবা থেকে শুরু করে এরপর বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে কেটেছে ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময়। ৭ বছর জাতীয় দলে খেলে মাত্র ৫টি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন এই গোলবারের সৈনিক। এর মধ্যে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ তেমনটা হয়নি। ছেলে পেপে রেইনা অবশ্য বার্সেলোনার সৃষ্টি হিসেবে সুপরিচিত। বার্সেলোনার সি ও বি দলের হয়ে খেলার পর মূল দলেও খেলেছেন। ক্যারিয়ারের সোনালী সময়টা এরপর খেলেছেন লিভারপুলে। কিন্তু ইকার ক্যাসিয়াসদের দাপটে স্পেন দলের প্রথম একাদশে তেমন একটা জায়গা হয়নি। ২০০৫ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াতে পেরেছেন পেপে রেইনা। তবে সর্বশেষ বিশ্বকাপে এসেছেন নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে। যদিও মাঠে সেভাবে নামা হয়নি তারও।

জাঁ জোরকায়েফ ও ইউরি জোরকায়েফ (ফ্রান্স)

বিশ্ব ফুটবলের বড় শক্তি হিসেবে ফ্রান্স সবসময়ই পরিচিত ছিল। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। বাবা জাঁ জোরকায়েফ লিও থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর খেলেছেন দেশটির আরেক ক্লাব পিএসজিতেও। জাতীয় দলের হয়ে ৪৮টি ম্যাচ খেলার মধ্যে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্স দলের সদস্য ছিলেন। ছেলে ইউরি মোনাকো, পিএসজি, ইন্টার মিলানের হয়ে ক্যারিয়ারে খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে এই সময়ে খেলেছেন ৮২টি ম্যাচ। ইউরি দুটি বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরোও খেলেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ ইউরো জয়ী দলের সদস্য ছিলেন ইউরি। এছাড়া ২০০২ বিশ্বকাপেও খেলেছেন ইউরি জোরকায়েফ।

রয় অ্যান্ডারসন ও প্যাট্রিক অ্যান্ডারসন (সুইডেন)

সুইডেনের হয়ে খেলে দুজনেই বিখ্যাত হয়েছেন। অ্যান্ডসরনদের পরিবারের তালিকাটা আরেকটু হলেও বড় হতে পারতো। রয়ের দুই ছেলে প্যাট্রিক ও ড্যানিয়েল জাতীয় দলের হয়ে যদিও প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেননি। প্যাট্রিক একটা বিশ্বকাপ খেললেও ড্যানিয়েল অল্পের জন্য মিস করে হতাশ করেছেন। ডিফেন্ডার রয় অ্যান্ডারসন সুইডেনের হয়ে ২০টি ম্যাচ খেলেছেন যার মধ্যে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ৩টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অন্যদিকে সেই তুলনায় প্যাট্রিকের ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। প্যাট্রিক বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনায় খেলেছেন একসময়। জাতীয় দলের হয়ে ৯৬টি ম্যাচ খেলে নিজেকে প্রমাণও করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ খেলেছেন প্যাট্রিক। তার আরেক ভাই ড্যানিয়েল দুটি ইউরো খেললেও জাতীয় দলের হয়ে হতাশ হতে হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //