২০০২ সালে অনুষ্ঠিত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বকাপ চলাকালে স্টেডিয়ামে কিংবা স্টেডিয়ামের বাইরে সমর্থকদের হাতে শোভা পেয়েছিল ঐতিহ্যবাহী হাতপাখা। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ পরিচয় করিয়ে দেয় ভুভুজেলাকে। আর এবার কাতার বিশ্বকাপে পরিচয় করিয়ে দিল হেডস্কার্ফের সঙ্গে। কাতারে আতিথেয়তায় ব্যবহার হচ্ছে এই হেডস্কার্ফ।
বিশ্বকাপ উপভোগ করতে আসা বিদেশি পর্যটকদের জন্য ঐতিহ্যবাহী হেডস্কার্ফ বাজারে এনেছেন ২৬ বছর বয়সী নাইমি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ঘুত্রা। কাতারের রাজধানী দোহার সৌক ওয়াকিফ মেট্রো স্টেশনের এক কোণে ‘ঘুত্রা মুন্ডো’ নামের দোকানে এই হেডস্কার্ফ কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নাইমি। আরব বিশ্বে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাখ লাখ ফুটবল ভক্তের আগমন ঘটেছে কাতারে। নাইমির এই হেডস্কার্ফ এখন শোভা পাচ্ছে স্টেডিয়ামগুলোর গ্যালারিতে।
নাইমি বলেন, ফুটবলপ্রেমীদের কাছে কাতারের সংস্কৃতি তুলে ধরাই তার প্রধান উদ্দেশ্য। এ জন্য তিনি এই ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘুত্রা একটি ঐক্যের প্রতীক যা আমাদের জাতীয় পোশাকের অংশ। এটি বিশ্বকে শেখায় এবং দেখাচ্ছে কাতারিরা স্বাগত জানাচ্ছে তাদের, আমাদের সংস্কৃতিতে অংশ নেওয়ার জন্য এবং ঘুত্রা আতিথেয়তার একটি প্রতীক।’
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের পতাকা দেওয়া হয়েছে ঘুত্রায়। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আরও বেশকিছু ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ তুলে ধরেছেন নাইমি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ হাতপাখা ভুভুজেলা হেডস্কার্ফ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh