প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগের দল ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাইয়ের শুরুতেই মায়ামিতে যোগ দেবেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর। যদিও এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক কোন চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। কেবল মেসির পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে।
সৌদি আরবের আল-হিলাল ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব উপেক্ষা করে কোন এক অজানা কারণে নামমাত্র পারিশ্রমিকে মিয়ামিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন মেসি। যদিও আর্জেন্টাইন ও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আর যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। এছাড়া রয়েছে ক্লাবের মালিকানা লাভেরও সুযোগ।
মেসির যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোয় সময় বাকি বেশি নেই। কিন্তু মেসি অধ্যায় রাঙাতে ইন্টার মিয়ামি মোটেও প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ক্লাবটির গোলরক্ষক নিক মার্শম্যান। তার দাবি মেসির মানের ফুটবলারকে যে পরিমাণে নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন সেটি নেই মায়ামির অস্থায়ী হোম ভেন্যু ডিআরভি পিএন স্টেডিয়ামে।
ইএসপিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্শম্যান বলেন, ‘আমি মনে করি, মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্লাব এখনো প্রস্তুত না। আমাদের স্টেডিয়ামটি অস্থায়ী। যে কেউ যখন খুশি তখন সেখানে ঢুকতে পারে। স্টেডিয়ামটির কোনো গেটও নেই। আমরা নিজেরাই কোনোরকম নিরাপত্তা ছাড়া স্টেডিয়ামে ঢুকি, বের হই। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় ক্লাব প্রস্তুত না এখনও ওর জন্য। কিন্তু আমি চাই ও আসুক।’
মিয়ামির ফ্রিডম পার্কে ১০০ কোটি ডলার খরচ করে নতুন স্টেডিয়াম বানাচ্ছে ইন্টার মায়ামি। ২০২৫ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সে বছরই দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হবে স্টেডিয়ামটি। নতুন এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা হবে ২৫ হাজার।
বর্তমানে ক্লাবটি অস্থায়ীভাবে ফোর্ট লডারহিলে ডিআরভি পিএন স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে। এর ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার। সেই সঙ্গে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। আর মূলত এটিই ভাবাচ্ছে মায়ামির ডাচ গোলরক্ষককে।