সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

সাগরিকার গোলে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে উঠে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ কাঁপায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এ সময় বল পজিশন আর আর আক্রমণে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য খুঁজে পায়নি জুনিয়র বাঘিনীরা। অবশেষে ম্যাচের যোগ করা সময়ে মোসাম্মত সাগরিকার একমাত্র গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে সবার আগে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে সাইফুল বারী টিটুর দল।

আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ পর্বের ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের জোড়া গোলের পর এই ম্যাচে গোল করে টুর্নামেন্টে তিনটি গোল পেলেন সাগরিকা। 

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকা ম্যাচটির ফলাফল অমীমাংসীত থাকবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু যোগ করা সময়ে মাঝ মাঠ থেকে সাগরিকাকে বল বাড়িয়ে দেন আফিদা খন্দকার। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলে শট নেন সাগরিকা। সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে গ্যালারিতে থাকা হাজার হাজার দর্শক। 

এদিন বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশ গোল পেতে পারত খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই। এ সময়ে আফিদার নেওয়া ফ্রি কিক ভারতের গোলপোস্টের উপরের জাল কাঁপিয়ে দেয়। একটু পরেই পাল্টা আক্রমনে ওঠে ভারত। কিন্তু বিপদ বাড়ার আগেই বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভারতকে আটকে দেয়। 

১২তম মিনিটে অল্পের জন্য বাংলাদেশের বিপদ ঘটেনি। বা প্রান্তে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে গোলে শট নেন ভারতের নেহা। ডানপ্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়লেও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক স্বর্না রানী মন্ডল। তবে ভারতীয় ফরোয়ার্ডের কুনাকুনি শটটি চলে যায় গোলপোস্ট ঘেঁষে।

প্রথমার্ধে একটিও অন টার্গেটে শট নিতে পারার আক্ষেপ ঘুচে প্রথমর্ধের যোগ করা সময়ে। আফিদার শটটি একটুর জন্য জাল খুজে পায়নি। ওই শটের পর গোলশূন্য ড্রয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। 

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। বল পজিশন ধরে রেখে খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। এই অর্ধে বেশ কিছু আক্রমনও করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেসব ভারতের রক্ষণ দেয়াল টপকাতে পারেনি। 

৭১ মিনিটে কর্নার পায় বাংলাদেশ। স্বপ্নার নেওয়া শটটি হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবি। তবে বল পেয়ে যান বক্সে থাকা আফিদা। এবারও এই ডিফেন্ডারের শটটি গোলপোস্টের উপরে দিয়ে যায়। 

৮২ মিনিটে ফ্রি কিক নেয় পূজা। ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে সোজা গোলে শট নেন তিনি। বক্সে থাকা আফিদা হেড নেন গোলে। তবে থোইবিশানা চানু তুইজাম বলটি ক্লিয়ার করেন। 

৪ মিনিট পর এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠ থেকে একাই বল নিয়ে এগিয়ে যান মুনকি আক্তার। পেছন থেকে দুজন ভারতীয় ডিফেন্ডার তাকে তাড়া করেন। কিন্তু তাদেরকে সামলে বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন মুনকি। তবে সামনে থাকা গোলরক্ষকের বাধা টপকাতে পারেননি এই ডিফেন্ডার। দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ে আর ভুল করেননি সাগরিকা।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //