শেফিল্ডের সঙ্গে কেমন চুক্তি হতে পারে বাংলাদেশের হামজার

নতুন বছরে এখনো মাঠে নামেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেই অপেক্ষা ফুরোচ্ছে মার্চে। লাল-সবুজরা এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারতের। 

তৃতীয় রাউন্ডের সেই ম্যাচটি হবে ২৫ মার্চ। ভারতের মাটিতে এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে হামজা চৌধুরীর। লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে নিয়ে এমন গুঞ্জনই চলছে বাংলাদেশের ফুটবলে। সঙ্গে আরেক গুঞ্জন—নতুন ঠিকানায় যাচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী তারকা। 

গতকাল দ্য অ্যাথলেতিক জানিয়েছে, লেস্টার থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে যাচ্ছেন হামজা। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পক্ষ এ নিয়ে কিছুই জানায়নি। তবে অ্যাথলেতিকের খবর, এই চুক্তিতে হামজাকে স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়ার অপশনও রাখছে শেফিল্ড। 

লেস্টারের সঙ্গে আরও আড়াই বছরের চুক্তি আছে হামজার। তবে কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে নিজের ভবিষ্যত তেমন উজ্জ্বল দেখছেন না নিজেও। চলতি মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৬ ম্যাচ মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া এই তারকা। তার ৪টি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে, ২টি কারাবো কাপে। 

লেস্টারের যুব দল থেকে ওঠে আসা হামজার। ২০১৫ সালে ক্লাবটির মূল দলে অভিষেক হয় তাঁর। পরের বছর থেকে ধারে খেলেছেন বার্টন আলবিয়ন ও ওয়াটফোর্ডে। তবে গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলে লেস্টারকে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মোট খেলেন ৪১ ম্যাচ। 

কিন্তু এ মৌসুমে আবারও জায়গা পেতে লড়াই করতে হচ্ছে হামজাকে। শীতকালীন দলবদলের শুরুর দিকেও তাঁর শেফিল্ডে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। ক্লাবটি বর্তমানে খেলছে ইংলিশ ফুটবলে দ্বিতীয় স্তরে। ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে আছে শেফিল্ড। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৮। ক্লাবটি যদি প্রিমিয়ার লিগে ফিরে তবে হামজাকে আর ধারে নয়, স্থায়ীভাবে রেখে দিতে পারে। আর না পারলে ফেরত পাঠাবে লেস্টারে।

লেস্টার কত ইউরোর বিনিময়ে হামজাকে ব্রামাল লেনে পাঠাচ্ছে সেটি জানা যায়নি। সম্ভাবনা আছে এই সপ্তাহের মধ্যে সেই চুক্তি হওয়ার।