যুবলীগের ৪ নেতা লাপাত্তা

শাওন ও সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব

ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী ওরফে শাওন এবং যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, নুরুন্নবী চৌধুরী ও ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ব্যাংক হিসাবে কী পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে, তার হিসাব পাঁচদিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে। 

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই দুজনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখার জন্য বিএফআইইউয়ের কাছে চিঠি দেয়। এনবিআরের চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় বিএফআইইউ।

বিএফআইইউ আরো যাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে তারা হলেন- ফাজানা চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দীন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনাইদ, মোহাম্মদ জহুর আলম, এসএম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার ও শরফুল আওয়াল।

মানি লন্ডারিং ও অর্থপাচার ঠেকাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে বিএফআইইউ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া সব ব্যক্তির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব নজরদারিতে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিকটাত্মীয়দের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তারও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের নামে কী পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলোয় আছে, তাও জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

সম্রাটসহ যুবলীগের ৪ নেতা লাপাত্তা

ঢাকার ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠটির চার নেতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

যুবলীগের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ এই নেতাদের খোঁজ মিলছে না কোথাও; কার্যালয়েও তারা যাচ্ছেন না এবং বাড়িতেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন এই নেতারা।

ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে লাপাত্তা এই যুবলীগ নেতারা কোথায়, তা বলতে পারছেন না সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদও।

সম্রাট ছাড়া অন্য চারজন হলেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মতিঝিলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //