মুক্তিযোদ্ধারা যেন স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন সে লক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা বৃদ্ধি করে মোট ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।
বৈঠকের জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার ৫০০ হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে।
বৃত্তিপাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই বাছাইয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরনী এবং আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদনসহ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে চিকিৎসা খরচ দেয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে প্রদানের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
ভার্চুয়ালি সংসদীয় কমিটির বৈঠক করার প্রস্তাব: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলোতে ভার্চুয়ালি অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে। স্পিকার ড. স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে প্রস্তাব দেবে সংসদীয় কমিটি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে এই প্রস্তাব দেয়ার কথা জানান কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কমিটিতে কয়েকজন সদস্য আছেন বয়োজ্যেষ্ঠ। অনেকেই বয়সের কারণে বৈঠকে আসতে পারেন না। আবার অনেকে এই করোনার কারণে আসতে পারছে না।
তারা যদি ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন তাহলে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা প্রাণবন্ত হবে। আমরা স্পিকারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠাব। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সংসদীয় কমিটির বৈঠক শুরু হলেও সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী হচ্ছে না। মাসে অত্যন্ত একটি করে বৈঠক করার কথা থাকলেও অধিকাংশ কমিটি তা মানছে না।
বৈঠক উপস্থিতিও অনেক কম। রবিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দশজনের মধ্যে মাত্র তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংসদীয় কমিটিতে তিনজন হলেই কোরাম হয়। এর আগে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক মাত্র ২০ মিনিটে শেষ করা হয়।এই কমিটির অধিকাংশ সদস্য বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ায় কারোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বৈঠক তড়িঘড়ি করে শেষ করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : মুক্তিযোদ্ধা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh